ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা’র ভাস্কর্যের স্থপতি সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শনিবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ জহির।
সত্তরোর্ধ্ব আব্দুল্লাহ খালিদ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২ মে তাকে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে বারডেম হাসপাতালে আনা হয়েছিল গত ১০ মে। এরপর থেকে তিনি সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান জহির।
একাত্তরের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেয়া নারী-পুরুষের এ প্রতীক অপরাজেয় বাংলা’র ভাস্কর্যটি গড়ে তুলেন গুণী শিল্পী ভাস্কর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ খালিদ। সর্বপ্রথম ১৯৭২-৭৩ সালে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পূর্ণোদ্যমে অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। তবে অপরাজেয় বাংলার কাছে ভাস্করের নাম খচিত কোন শিলালিপি নেই।
সিলেটে জন্ম নেয়া এই ভাস্কর, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী আব্দুল্লাহ খালিদ ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক এবং ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।