ডেস্ক নিউজ:
নরসিংদীর গবতলীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ির ভেতর থেকে পাঁচ জনকে বের করে আনা হয়েছে। এরমধ্যে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে একজন, ১০টা ৫ মিনিটে দ্বিতীয় জন, ১০টা ৯ মিনিটে তৃতীয় জন, ১০টা ১৭ মিনিটে চতুর্থ জন ও ১০টা ২৭ মিনিটে পঞ্চম জনকে বের করে আনা হয়। এরা হলেন- মাসুদুর রহমান, সালাউদ্দিন, আবু জাফর, নাসিকুল ইসলাম ও মশিউর রহমান।
গত রাতে ওই বাড়িতে আটকে পড়া মাসুদ মোবাইলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, ভেতরে থাকা আবু জাফরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার, সালাহউদ্দিনের বাড়ি নরসিংদীর চলদিঘলদী, নাসিকুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদী সদর ও মশিউর রহমানের বাড়ি গাজীপুরের বোর্ড বাজারে। আর মাসুদ গাবতলী মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। সে ওই বাড়িতে থাকা জাফর নামের একজনের কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল বলে সাংবাদিকদের জানান মাসুদের ভগ্নিপতি আজহার ইবনে মাহবুব।
এই পাঁচ জনকে বের করে আনার পর মাইক্রোবাসে করে র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর ওই বাড়িতে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল টিম প্রবেশ করে। তারা এখনও বাড়ির ভেতরে অবস্থান করছে।
এদিকে, সালাহউদ্দিন নামে যে ব্যক্তি ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে র্যাব জানিয়েছে, সেই সালাউদ্দিনের বাবা আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করছে। কিছুদিন আমার সঙ্গে একটি মাদ্রাসায় গেস্ট টিচার হিসাবে শিক্ষকতা করছে। এরপর সে চাকরি ছেড়ে বিসিএস দেওয়ার জন্য কনফিডেন্সে কোচিং করছে। নরসিংদীতে থেকে টিউশনি করে। সে বলেছিল ঢাকায় তার ভালো লাগে না। সে জঙ্গি না। শুক্রবারও সে বাড়িতে গেছে। আমি গতকাল রাতে খবর পেয়ে এখানে এসেছি। ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছি। র্যাব আমাকে বলেছে তারা বিষয়টি দেখবে।’
`জঙ্গি আস্তনায়` আটকে পড়াদের বের করে আনা হচ্ছে
উল্লেখ্য, শনিবার বিকাল চারটায় নরসিংদী শহরতলীর বাইরে গাবতলী এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নির্মাণাধীন একটি দ্বিতল বাড়ি ঘিরে ফেলে র্যাব-১১ এর একটি দল। র্যাবের দাবি, সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিচয়ে বাড়িটি ভাড়া নেয় ‘জঙ্গি’ সালাহউদ্দিন। বাড়িটিতে সেসহ আরও ৫/৬ জন রয়েছে। বাড়িটির মালিক লিবিয়া প্রবাসী মাঈনউদ্দিন। তবে তার পরিবার সেখানে থাকেন না।
জঙ্গিদের পরিচয় সম্পর্কে র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, আতিয়া মহলে যে জঙ্গিরা ছিল তাদেরই কয়েকজন সদস্য ঢাকার দিকে আসছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এই বাড়িটি ঘেরাও করা হয়েছে। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত যে আতিয়া মহলে যেসব জঙ্গিরা ছিল,তাদেরই কিছু সদস্য এখানে আছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।