ডেস্ক নিউজ:

মেয়র মান্নান (ফাইল ছবি)গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। দুদকের উপ পরিচালক মো. সামছুর আলম রবিবার দুপুরে জয়দেবপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার, মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের সুস্পষ্ট শর্ত লঙ্ঘন, বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য খাতে অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বাজেট প্রকল্প বহির্ভুত ৭ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় ও অনুদান প্রদানের কথা উল্লেখ রয়েছে।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দুদকের দায়ের করা মামলাটি রবিবার দুপুরেই রুজু করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সময়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন স্মারকে ৯ কোটি টাকা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দের শর্ত ছিল ‘বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য কোনও খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না। স্যানিটেশন সুবিধা শতভাগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বরাদ্দকৃত অর্থের ২০ ভাগ অর্থ স্যানিটেশন কাজে ব্যয় করতে হবে। ব্যায়কৃত অর্থের প্রতিবেদন যথাসময়ে ওই বিভাগে পাঠাতে হবে।

কিন্তু সিটি মেয়র মান্নান বরাদ্দকৃত ৯ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব হিসাব নম্বরে জমা রাখেন। পরবর্তীতে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নং ১/২০১২-১৩ মূলে বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিল ও অনুদান বাবদ ৭ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় করেন। ওই ব্যয়গুলো করা হয়েছে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেয়াদে। তিনি ওই মেয়াদে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের সুস্পষ্ট শর্ত লঙ্ঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ব্যতীত অন্য খাতে ব্যয় এবং অনুদান বাবদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনও অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। এতে প্রমাণ হয় মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ব্যক্তিস্বার্থে নিজে ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য এবং অন্যকে লাভবান করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।