ডেস্ক নিউজ:
গাবতলীতে ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে বের করে আনা ব্যক্তিদের একজননরসিংদীর গাবতলীর ‘জঙ্গি আস্তানা’য় আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ৩ জনকে স্ব-স্ব পরিবারের কাছ হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কিছু পায়নি বলে তাদের পরিবারের কাছে দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্য দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। র্যাব ১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, যাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান, নরসিংদী সরকারি কলেজের মার্স্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বাসিকুল ইসলাম ও ওই বাসায় বেড়াতে আসা মশিউর রহমান।
র্যাব ১১ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে বাকি দু’জন সালাহ উদ্দিন ও আবু জাফর মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আমরা কিছু লিংক আপ তাদের পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে শনিবার বিকাল ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদীর গাবতলী এলাকার মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মাঈন উদ্দিনের নির্মাণাধীন বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে। সারারাত সেভাবেই ছিল। বাড়িটির ভেতরে থাকা কয়েক তরুণ ও শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্ট্যাটাস দেন তারা জঙ্গি নয় বলে। তারা নিজেরাই প্রত্যেকে এই অবস্থার কথা তাদের পরিবারকে জানালে স্বজনরা এসে সেখানে ভিড় করেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ‘জঙ্গি আস্তানায়’ থাকা শিক্ষার্থীরা ফোনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারা জঙ্গি নন বলে অনুনয় করতে থাকেন। রবিবার সকালে তাদের স্বজনদের খবর দিয়ে র্যাব ওই বাড়িটি থেকে একে একে সবাইকে আত্মসর্মণ করায়। দুপুরে অভিযান শেষ করে। তবে ওই বাড়ি থেকে কোনও বিস্ফোরক বা অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এরপর বাড়িটি তালা দিয়ে র্যাব চলে যায়। রাত ৯ টার দিকে খবর দিলে র্যাব ১১-এর কার্যালয় গিয়ে ওই ৩জনকে তাদের পরিবার নিয়ে যায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।