আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থা বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সকাল সোয়া ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রী-ছাত্রীরা কলা ভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হবেন এবং সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে কবির মাজারে গমন করবেন।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে মাজার প্রাঙ্গণে উপাচার্যের সভাপতিত্বে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বিরোধী সৈনিক নজরুল”।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে জাতীয় কবির মাজার পর্যন্ত এক র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে “সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে নজরুলের বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশের সম্প্রদায়-সংকট” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের উদ্যোগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ‘রবীন্দ্র-নজরুল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’র আয়োজন করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় থাকবে সঙ্গীত, আবৃত্তি, মূকাভিনয় ও নৃত্য পরিবেশন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে চিরনিদ্রায় শায়িত কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।