জালাল আহমদ,ঢাবি থেকে:
বিজয়ের পথে হাটছে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া জাহান চৈতীর মৃত্যর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তারদের অবহেলাকে দায়ী করে অভিযুক্ত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছেন ঢাবির শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ গত ২৪ মে দুপুর ১১-১২ টা পর্যন্ত ১ ঘন্টাব্যাপী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে ঢাবির কয়েক শ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার,প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার বহন করেন এবং শ্লোগান প্রদান করেন।তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক এবং ঢাবির সিনেট সদস্য প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,’আমাদের ছাত্রীর অকাল মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডাক্তারদের অবহেলাই দায়ী। ডাক্তারেরা কখনো বলেন ডেঙ্গু,কখনো বলেন লিউকোমিয়া আবার কখনো বলেন ক্যান্সার। তাই আমাদের আন্দোলন সকল ডাক্তারের বিরুদ্ধে নয়,শুধু মাত্র যাদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার জন্য আফিয়া জাহানের মৃত্য হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত ডাক্তারদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আকুল আহবান জানান তিনি’। এ সময় ব্ক্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফিয়া জাহানের মৃত্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর তীব্র সমালোচনা করেন।ডাক্তারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারী দেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ঢাবি শিক্ষার্থী রাসেল,সুমাইয়া বরকতুল্লাহ, আতিকুর রহমান লিংকন,দীপংকর রায়।
এ ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাবির সাথে সমঝেতায় আসতে বাধ্য হয়।হাস পাতালের সম্মেলন কক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সমঝেতার ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় ঢাবি প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন , ‘আফিয়ার মৃত্যকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে যে অনাকাঙ্ক্ষিত (ভাংচুর ) ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি’। তিনি বলেন, ‘কোন কিছুতেই আমরা আফিয়াকে ফেরত পাব না। তাই হাস পাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝেতা করা হয়েছে’। মানবিক কারণে হাস পাতাল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ আফিয়ার পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।এ সময় তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । আজ তার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি।ঢাবির প্রক্টর ড. আমজাদ আলী জানান, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সমঝেতার অংশ হিসেবে হাসপাতালের এক পরিচালক সহ নয় জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে’। ছবির ক্যাপশন: ঢাবির শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস। এ মানববন্ধনের পর সমঝেতায় আসতে বাধ্য হয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।