সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিস এর ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ভাস্কর্যটি না ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃ স্থাপিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের বন্ধ ফটকের বাইরে থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজে নিয়োজিত দেখা যায়। ঘটনাস্থলে এর ভাস্কর মৃণাল হকও রয়েছেন।
পাশে কয়েকটি ছোট ট্রাক ও গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্রী তানভীর আহমেদ জানান।
ভাস্কর্যটির শিল্পী মৃণাল হককেও ভেতরে দেখা যাচ্ছে।
কাদের তত্ত্বাবধানে ভাস্কর্যটি ভাঙা হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে একটি ভাস্কর্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়।
এরপর থেকে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন তার বিরোধিতায় নামে। হেফাজত এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে ৫ মে মতিঝিলে ফের সমাবেশের হুমকি দেয়। ওলামা লীগও তা অপসারণের দাবি জানায়।
গত ১১ এপ্রিল হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন এক দল ওলামার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাস্কর্যটি সরাতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
রোজা শুরুর আগে এই ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল ইসলামী সংগঠনগুলো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।