এম,ডি ম্যাক্স :
গত সংখ্যায় বলেছিলাম ক্রিকেট একটি বিশাল হিসেব নিকেশের খেলা, ফুটবলে অফসাইড, কর্নার, টেনিসে ডাবল ফল্টস, এইচ বুঝলে হয়, কিন্তু ক্রিকেটকে পুরুদগম্য করতে হলে এর অনেক খুঁটিনাটি ব্যাপার বুঝতে হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সেনসেশান ‘ফিজ’ মোস্তাফিজুর রহমান তার অসাধারণ নৈপুণ্য দিয়ে আবারো আলোচনায় এসেছেন, বিশেষ করে তার কাটারের কারনে। প্রশ্ন হল কি এই কাটার? ক্রিকেটে অনেক প্রকার বোলিং আছে, যেমন পেস, মিডিয়াম পেস, অফস্পিন, লেগস্পিন, গুগলি, ইন্সুইং,আউট সুইং, অফ কাটার,লেগ কাটার, দুসরা, টপ স্পিন, স্লয়ার,ইয়র্কার, ফুলার, কতকি। আজকের প্রসংগ কাটার। আপনি দেখবেন যে যখন কোন বোলার বল করতে শুরু করেন তখন তিনি বলটির একপাশ ঘষে আর পাশ একদম নতুন রেখে দেন, তেমনি প্রত্যেক ফিল্ডার এভাবে একপাশ ঘষতে থাকেন আরেকপাশ একদম নিখুঁত রাখেন। এটি মুলত করা হয় ফাস্টবোলাররা যাতে বলে সুইং করাতে পারেন, যেটি তারা বাতাসের মধ্যেই করে ফেলেন। কি সুইং করাবেন সেটি যদিও নির্ভর করে বলের গ্রিপ ধরার উপরে। বলের বয়স যখন ৪০ ওভার হয়ে যায় তখন বল দুই দিকে পুরাতন হয়ে যায় বলে শুরু হয় রিভার্স সুইং, তাই টি ২০ তে রিভার্স সুইং হয়না বললেই চলে কিন্তু অনেক বোলার মাঝে মাঝে এই কাজটি করে ফেলেন। যাই হোক ফিরে আসি কাটারে। সুইং এর বেলায় পিচ এর ভুমিকা নগন্য, তার ছেয়েও জোর দেওয়া হয় বাতাসের উপরে, পিচের আগে যা ঘটার ঘটে যায়। কিন্তু কাটারের ব্যাপার টা উল্টো, কেননা এক্ষেত্রে বল পিচে পড়ে শুরু হয় তার টার্ন। অর্থাৎ বল পিচে পরে তার সুইং বা দিক পরিবর্তন করে। স্বাভাবিক ভাবে এসমস্ত বোলাররা বলের গতিকে ৮০ থেকে ৮৫ মাইলের মধ্যেই রাখেন। রান আপ নেন কম। ব্যাকরণ বলছে এই কাটার করতে হলে প্রথমে সেলাইয়ের উপর তর্জনী রাখতে হবে,বৃদ্ধা আংগুল থাকবে নীচে আর মধ্যমা ২ সেন্টিমিটার দূরে থাকবে সেলাই থেকে। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত বোলার এই কাটারে নিয়েছেন শত শত উইকেট। ওয়াসিম আকরাম ফাস্ট বোলার হলেও মাঝে মাঝে কাটার দিতেন, আর দিতেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন মেকগ্রাথ, ভারতের ভেংক্টাস প্রাসাদ। আর আমাদের মোস্তাফিজ সেটিকে শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেলেন, তাই ত অভিষেকে সিরিজ আর আই,পি,এল জিতে মাতিয়ে রাখলেম পুরা ক্রিকেট বিশ্ব। বাংলাদেশ কে নিয়ে গেলেন প্রথবারের মত আই,সি,সি এর র্যংকিকের ৬ ষ্ট স্থানে।
পরবর্তীতে আসছে রিভার্স সুইং।( সৌজন্যে সি, বি,এন ক্রিকেট পাঠক সিরিজ)।