ঢাকাটাইমস :
বৃদ্ধের কাঁধে একজন বসে আছেন প্রাপ্তবয়স্ক একজন ব্যক্তি। আর আয়েশের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। এমন একটি ছবি গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। লোকটিকে নিন্দেমন্দ চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে যিনি কাঁধে বসে আছেন বলে ছড়ানো হয়েছে, সেই ব্যক্তি বলেছেন, তিনি কস্মিনকালেও এই কাজ করেননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তির নাম মাইনুল ইসলাম। তার পরিচয় দেয়া হয়েছে ৫৬ নং মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মাইনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার ছবি এডিট করে ব্যবহার করেছে। প্রকৃতপক্ষে এটা আমিই নই।’
এই শিক্ষক বলেন, ‘আমার এক বন্ধু বলার পর আমি ছবিটা দেখি এবং এর নিচে লোকে যে আমার নাম তুলে গালিগালাজ করছে সেটাও দেখি।’
এরপর কী করলেন-জানতে চাইলে মানুষ বলেন, ‘আমি থানায় গেলাম এবং তারা আমাকে বলে একটা জিডি করে রাখেন। এরপর আমি জিডি করলাম। বিষয়টা এখন পুলিশ দেখছে।’
ফেসবুকে আপনার নামে প্রচারে ব্যক্তিগত জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে বলেও জানান মাইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে… এর চেয়ে মার্ডার করা ভালো ছিল।’
মঠবাড়িয়া থানার উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবির ঢাকাটাইমস বলেন, ‘গতকাল রাতে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম থানায় তিনি একটি জিডি করেন, যার নং ১/৩১। ওই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছবি ব্যবহার করে কে বা কারা এক বৃদ্ধের সাথে তার ছবি পোস্ট করে। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।’
কারা এই ছবি ছড়িয়েছে সেটা শনাক্ত হয়েছে কি না-জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তারা জানতে পারেননি। তবে চেষ্টা চলছে।’
এই ঘটনার জন্য কাউকে সন্দেহ করেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কাকে সন্দেহ করব বলেন। আর কেনই বা করব।’
যে বৃদ্ধ লোকটির ঘাড়ে বসে থাকার ছবি প্রচার হয়েছে, তেমন কোনো মানুষ মঠবাড়িয়ায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।