নওগাঁর আত্রাইয়ে এক ভণ্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহাদ আলী (৫০) নামে ওই ভণ্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের পবনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কবিরাজ শাহাদ আলীর বাড়ি একই উপজেলার জয়সাড়া গ্রামে।

জানা যায়, পবনডাঙ্গা গ্রামের এক ব্যক্তি (৫০) দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছেন। তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী জয়সাড়া গ্রামের শাহাদ আলী সাধু কবিরাজি চিকিৎসা করেন। পরে তিনি মঙ্গলবার (২৩ মে) কবিরাজ শাহাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কবিরাজ শাহাদ আলী তাকে সুস্থ হতে হলে তিন দিন গভীর রাতে পুকুরের সাত ঘাটের পানি সংগ্রহ করতে হবে বলে জানান। আর এই পানি আনতে কবিরাজের সঙ্গে যাবেন অসুস্থ ওই ব্যক্তি স্ত্রী।

ভণ্ড কবিরাজের কথা মত স্বামীকে সুস্থ করতে ওই গৃহবধূ প্রথম দিন মঙ্গলবার রাতে পানি নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় দিনে বুধবার রাতে কবিরাজ আবারও গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে সাত ঘাটের পানি আনতে যান। এসময় ওই কবিরাজ অন্ধকারে জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কথাটি বলেনি।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই কবিরাজ ওই ব্যক্তির বাড়িতে এসে আসন বসিয়ে আবারও গভীর রাতে গৃহবধূকে নিয়ে পানি নিয়ে আসার প্রস্তাব দেয়। এসময় ওই গৃহবধূ ভণ্ড কবিরাজের সঙ্গে যাবে না বলে জানায় এবং ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করে। বিষয়টি জানতে পেরে লোকজন কবিরাজকে আটক করে রাখে। শুক্রবার ভণ্ড কবিরাজকে গ্রামবাসী আত্রাই থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুদ্দোজা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের মাধ্যমে তাকে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়।