টেকনাফ সংবাদদাতা:

১৪ বছরের মেয়েকে শ্লীলতাহানির বিচার চাওয়ায় এক ঘরে হয়ে পড়েছে টেকনাফের আলী হোসেনের পরিবার। বিশেষ করে আদালতে দায়ের করা অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিতে স্থানীয় কাউন্সিলারের অব্যাহত চাকে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তিনি।
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা আলী হোসেন। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন একটি বাড়া বাসায়। অভারে সংসারে টমটম ভাড়া ও চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন পরিবারে দু যুবক সতস্য। ঘরে রয়েছে ১৪ বছরের কিশোরী ইয়াসমিন আকতার । ইয়াছমিন আকতারের দিকে কুনজর পড়ে স্থানীয় লম্পট ও বিবাহিত যুবক মোঃ আসলামের। প্রথমে স্থানীয় পুতু ড্রাইভারের স্ত্রী ফাতেমার মাধ্যমে গত ৫ জানুয়ারি বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় আসলাম। তা প্রত্যাখান করায় গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টার সময় আসলাম, নামজুল হক, করিম উল্লাহ. আরফাতসহ কয়েকজন মিলে ঘরে ঢুকে চাকু ধরে ভয় দেখিয়ে ইয়াছমিন আকতারকে জোরপূর্বক অপহরণ করে কিছুদূর নিয়ে যায়। এতে এক পর্যায়ে ভাই হাসান বোন ইয়াছমিনকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যায়। এতে অপহরণকারীরা হাসানকে চুরিকাঘাত করে ইয়াসমিনকে ফেলে সটকে পড়ে। এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা অলী হোসেন বাদী হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুন্যালে মামলা দায়ের করে। যা টেকনাফ মডেল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলা প্রত্যাহার করে নিতে অব্যাহত চাপ দিতে থাকে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলার শাহ আলম। এমন অভিযোগ মামলার বাদী আলী হোসেনের। তিনি বলেন. একদিকে ১৪ অপহরণ ও শ্লীলতাহানী, ছেলেকে চুরিকাঘাত করে আহত করা অন্য দিকে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ। যার কারনে এলাকায় শুধু এক ঘরে অবস্থায় আছি তা নয় অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাতে হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে গত ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান।
এদিকে পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্ত দেওয়ার খবর পেয়ে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে পৌর কাউন্সিলার শাহ আলম। তিনি (২৫ মে) গত বৃহস্পতিবার রাতে আলী হোসেনকে শত শত লোকের সামনে গলঅ চেপে ধরে মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দেয়।
বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার এসআই আব্দুর রহিম স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করেন কাউন্সিলার শাহ আলম।