রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, জামিনাদেশ বহাল থাকায় আসলাম চৌধুরীর এখন জামিনে মুক্তি পেতে বাধা নেই।
গত বছর দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবি প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে তোলপাড় হয়।
২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি, উত্তর)।
পরে তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ১৬ মে ৫৪ ধারায় (মোসাদ কানেকশনে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের দুজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি। দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় ডিবির ইন্সপেক্টর গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ১৮ মে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং এ এন এম বসিরউল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলাম চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ, যেটি রোববার খারিজ হয়ে যায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।