প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও উত্তর দিকে সরে বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এই ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা, দুগত মানুষকে সহযোগিতা করা এবং উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোর লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম।
যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব প্রধান ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগে, চলাকালীন কিংবা পরবর্তী সময়ে করণীয় নির্ধারণে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জরুরি বৈঠকে বসেছে যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব সদস্যরা। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশনের সাথে জরুরী সম্বনয় সভা করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের সহযোগিতায় যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের কার্যালয়কে কন্ট্রোল রুম (০১৬৭৫৬২৮৮৪২, ০১৯১৯০৯৮২০৭) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ৫০ জন যুব সদস্য প্রস্তুত রয়েছে যে কোন দুর্যোগে তৎক্ষণাত সাড়া প্রদানের লক্ষে। তাছাড়া যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের আরো তিনশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুত রয়েছে তারা প্রয়োজন সাপেক্ষে সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসবে।
জেলার সকল সাইক্লোন সেল্টার, উপকূলের স্কুল ভবনগুলোতে যুব সদস্য প্রেরণ করা হচ্ছেএবং আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকজনকে প্রয়োজন সাপেক্ষে ইফতার ও সেহেরির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় মোরা সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।