ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ হচ্ছে দেশের উন্নয়নের চাবি কাটি । আজ বিদ্যুতের অভাবে ও ঘন ঘন লোডশেডিং এর ফলে জনজীবন অতিষ্ট । ব্যবসা বাণিজ্য,কলকারখানা, সব জায়গায় লোকসান । সরকার যায় আবার আসে , কিন্তু উক্ত সমস্যা সমাধানের উপর আজ পর্যন্ত কোন সরকার সমাধান করতে পারছে না । দেশে দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে । কিন্তু উৎপাদন নাই , তা ছাড়া আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলি প্রায় গ্যাস ভিওিক । ফলে গ্যাসের অভাবে জাতীয় উৎপাদন গ্রিডে প্রায় ঘাটতি ।
বর্তমান সরকার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ হাতে নেওয়ায় স্বাগতম জানাই এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে ০২ নভেম্বর ২০১১ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়াতে ৪/৫ বছরের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক নাকি ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে । ১৯৬১ সালে দুইশো একরেরও বেশি জমির উপর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয । এতদিন প্রয়োজনীয অর্থের অভাবে ও নানা রাজনেতিক দূরদৃষ্টির অভাবে বাস্তবায়ন হয় নাই । এই দীর্ঘ সময় পরে হলেও আশা করি বিদ্যুৎ সমস্যা কিছু সমাধান হবে । পারমানবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া একটা জটিল বিষয় , ব্যয়বহুল, এবং অনেক বিশেষজ্ঞ দরকার। পারমানবিক শক্তি আমরা শান্তির কারনে ব্যবহার করতে চাই । বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে । অনেক অবসরপ্রাপ্ত কমিশনের চেয়ারম্যানগন উক্ত প্রকল্ক বাস্তবায়ন করার জন্য আগ্রহী ছিল ।
কমিশনে ৩ মেগাওয়াট সম্পন্ন একটা পরমানু চুল্লি রয়েছে । ফলে পারমাণবিক প্রযুক্তি ও প্রয়োগ করার সুযোগ আসছে । পরমানু চুল্লিতে তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণ থেকে রক্ষা করা এবং এর সিন্ডিং ব্লক দেওয়া এক বিশেষ উপাদান আমাদের দেশে রয়েছে.পরমাণবিক চুল্লি ও পরিবেশ রক্ষা করা এর সেপটি একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় । এ ব্যাপারে কক্সবাজারস্থ সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রে ,উৎপাদিত ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, জিরকন ব্যবহার করা যেতে পারে । ফলে অনেক বৈদেশিক টাকা সাশ্রয় হবে । ম্যাগনেটাইট ,ইলমেনাটন, জিরকন, পরামাণবিক শক্তি চুল্লিতে বিকিরন রোধ করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে । ( as a radiation shielding blocks materials in the nuclear reactor and x-ray machine installation as the same works .) কক্সবাজার সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র পরমাণু শক্তি কমিশনের একটা প্রকল্প । বাংলাদেশের উপকূলে অনেক জরিপ অনুসন্ধানের ফলে মূল্যবান খনিজের পরিমান ১৭.৬ লক্ষ টন । তার মধ্যে ৮১০০০ টন ম্যাগনেটাইট এবং ১০২৫,৫৫৮হাজার টন ইলমেনাইট যা দীর্ঘদিন ধরে বাণিজিকভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে না – পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এইসব ব্যবহার করা যায় কিনা দেখা উচিত ।
লেখক – সাবেক উর্ধতন কর্মকর্তা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও সমাজকমী , টেকপাড়া কক্সবাজার.
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।