ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংসদের হাজিরা দিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি সংসদ সচিবালয় থেকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। নীল ফিতায় সবুজ রঙের নতুন ওই পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে বুধবারের প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সংসদ সদস্যদের হাজিরা গণনা ব্যবস্থা ডিজিটাল করার অংশ হিসেবে নতুন এই পরিচয়পত্র আইনপ্রণেতাদের দিচ্ছে সংসদ সচিবালয়। এর আগে সংসদ সদস্যরা খাতায় সই করে হাজিরা দিতেন।
জানা গেছে, গত কয়েকটি অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা জিডিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা দিচ্ছেন। তবে এখনও সব এমপি এই ডিজিটাল কার্ড পায়নি। সংসদ কক্ষের প্রবেশপথগুলোয় বসানো ডিজিটাল মেশিনে কার্ড মেশিনে পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে। একইসঙ্গে সংসদ সদস্যদের জন্য পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ইস্যু করা হচ্ছে। সব সদস্যদের হাতে এই পরিচয়পত্র পৌঁছে গেলেই পূর্ণাঙ্গভাবে ডিজিটাল হাজিরা চালু হবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই অধিবেশন থেকে হাজিরা গণনা ডিজিটাল করা হয়েছে। সব সংসদ সদস্যরা নতুন ডিজিটাল পরিচয়পত্র পেলে এটা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে।
শব্দযন্ত্র বিভ্রাট: শব্দযন্ত্রের ত্রুটির কারণে বুধবার সংসদ সদস্যদের মাইক্রোফোনের মাধ্যমে কথা বলতে হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম চালু করা যাচ্ছে না। আমি নাম বলার পর নিজেরা নিজেদের মাইক্রেফোন অন করবেন। আমি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবো।’
বিদ্যমান ব্যবস্থায় সংসদে স্পিকার কোনও সংসদ সদস্যকে ফ্লোর দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার মাইক চালু হয়ে যায়। স্পিকার তাকে বসতে বললে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। এটা সংসদ সচিবালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটা করা সম্ভব হয়নি।
মাইক্রোফোনের বিভ্রান্তির কারণে অনেক সদস্যকে নিজের আসন ছেড়ে অন্যের আসনে গিয়ে কথা বলতে হয়েছে। এতে এমপিদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।