ডেস্ক নিউজ:
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে সিগারেট, বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বাজেট প্রস্তাবে নিম্ন মূল্য স্তরের দেশীয় ব্র্যান্ডের সিগারেট প্রতি ১০ শলাকার মূল্য বিদ্যমান ২৩ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৭ এবং সম্পূরক শুল্ক হার ৫০ থেকে বৃদ্ধি করে ৫২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে নিম্ন মূল্য স্তরের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সিগারেটের ক্ষেত্রে বর্তমানে পৃথক কোনো মূল্যস্তর না থাকায় প্রতি ১০ শলাকার মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণসহ সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া ৪৫ টাকা বা তদূর্ধ্ব মূল্যে বিদ্যমান মধ্যম ও উচ্চমূল্য স্তরের সিগারেটের ব্র্যান্ডগুলোর জন্য কোনো মূল্য নির্ধারণ না করে মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি উৎপাদকের ইচ্ছাধীন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিড়ির বিদ্যমান ট্যারিফ মূল্য বিলুপ্তির পাশাপাশি ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৩০ ও ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। তবে করসহ ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নাম দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি মুহিতের একাদশ বাজেট। আর বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে টানা নবম বাজেট। এর আগে মুহিত ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দু’বার বাজেট পেশ করেছিলেন।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।