আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেছেন, দূর্গত এলাকার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। এই সরকার কেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের ভাগ্যন্নোয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ক্ষতিগ্রস্থ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় কমিটির ১১ সদস্য নিয়ে গড়া ত্রাণ কমিটি ৩ ভাগে ভাগ হয়ে জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুবির কুমার রায় নন্দীসহ ত্রাণ কমিটির সদস্যরা চকরিয়া-পেকুয়ার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছেন।

এসময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, করিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আসা টিমের সদস্য কর্তৃক বিতরণের লক্ষ্যে চকরিয়ার জন্য ১৩ মে.টন ও পেকুয়া উপজেলার জন্য ১০ মে. টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ত্রাণের সঙ্গে প্রতি জনকে নগদ এক হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়ার তিনটি ইউনিয়ন ডুলাহাজারা, সাহারবিল ও চিরিংগাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ইতিমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিকালে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও উজানটিয়ায়তেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন এবং পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতেও ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম নিশ্চিত করেছেন।