মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গত মঙ্গলবার সকালে বয়ে যাওয়া ঘূণিঝড় ‘মোরা’র প্রবল বাতাসে গাছ পড়ে খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় অন্ধকারে রাত কাটাচ্ছে পুরো উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ কয়েক লাখ মানুষ। পল্লী বিদ্যুৎ কেরানীহাট শাখার দেয়া তথ্যে জানা যায়, পুরো উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার। ঘূর্র্ণিঝড়ের বাতাসে ৩৪টির মত বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যায়। এছাড়া ১২ শত স্থানে তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মির্জাখীল, মাদার্শা, কাঞ্চনা, ছোড়ামনি, চরতী, আমিলাইষ, দক্ষিণ মরফলা, গাটিয়া ডেঙ্গা, এওচিয়া, উত্তর ঢেমশা, কেঁওচিয়া, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরাণগড়, বারদোনা ও করাইয়ানগরসহ এসব এলাকায় প্রচ- বাতাসে গাছপালা পড়ে খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে কয়েক লাখ মানুষ অন্ধকারে রাত কাটাচ্ছে। কেঁওচিয়ার মাইজপাড়ার বাসীন্দা মো. নোমান তালুকদার বলেন, বাতাসে খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় অন্ধকারে ৪দিন ধরে রাত কাটাচ্ছি। বিদ্যুৎ না থাকায় রাত হলে চুরি-ডাকাতির অশঙ্কায় থাকি। বাজালিয়ার বাসীন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বাতাসে তার ছিড়ে গেলে ৪ দিনেও বিদ্যুৎ পাইনি। রাত হলে চুরির আশঙ্কায় ঘুমাতে পারছিনা।
পল্লী বিদ্যুতের কেরানীহাট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক মো. আকমল হোসেন বলেন, বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে আমাদের লাইনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু খুঁটি ভেঙ্গে তার ছিড়ে গেছে। খুঁটি বসানোর কাজ ঠিকাদাররা শুরু করে দিয়েছে। আমাদের লাইনম্যানরা লাইনে সার্বক্ষনিক কাজ করছে, যাতে দ্রুত সব গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যায়। পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।