সালাম কাকলীঃ
সাগর ও নদী ঘেরা মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য শত কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও এখন চলছে সেখানে জোয়ার-ভাটা। জোয়ারের সময় লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারছে না। এতে টিকাদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাছান।
সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূণিঝড় মোরার আঘাতে লন্ডভন্ড ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিদর্শন করার সময় দেখা যায়, ধলঘাটা ইউনিয়নের চারদিকে প্রায় শত কোটি টাকা বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্ববধানে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু টিকাদাররা ২০ থেকে ২৫% কাজ করে সবকিছু গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে উত্তর সুতরিয়া পশ্চিম দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে সরাসরি সাগরে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। ফলে সেখানকার লোকজন জোয়ারের সময় এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পারছেনা। বেশিরভাগ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রীদের। চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, উত্তর সুতরিয়া পশ্চিমে বিধস্থ প্রায় ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দিলেও ঠিকাদার কাজ না করায় বর্তমানে শত কোটি টাকার কাজ করার পর পরই এসব কাজ ভেঙ্গে খাঁন খাঁন হয়ে যাচ্ছে । এমনকি জরুরী ভিত্তিতে ঐ ভাঙ্গন স্থানে কাজ না করা হলে বর্ষার মৌসুমে পুরো ধলঘাটা ডুবে যাবে। এছাড়া তিনি আরো জানান ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে তার এলাকায় প্রায় তিনশত ঘর সম্পুন্ন বিধস্থ হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৫ শতাধিক। ভেঙ্গে গেছে একটি মসজিদ, ২টি মাদ্রাসা ভবন, একটি কেজি স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান। তিনি জরুরী ভিত্তিতে এ সব ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।