জাবেদ ইকবাল চৌধুরী:

বিজিবি’র বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা দাবী করায় গণপিটুনির শিকার রোহিঙ্গা যুবক শামসুল আলম পালিয়ে বেচেঁছে। ৯ জুন শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। যদিওবা ওই সময় রোহিঙ্গা যুবক পালিয়ে বেচেঁ গেলেও রেখে যায় ব্যবহৃত মোবাইলটি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা চলছে।

জানা যায়, টেকনাফ পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়া এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন জন থেকে ইয়াবা মামলায় ফাসিঁয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাদাঁ আদায় করে চলেছে নাইট্যং পাড়ায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা যুবক শামসুল আলম। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজিবি’র সোর্স পরিচয় দিয়ে সে ওই এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত এমন লোকজন থেকে চাদাঁ আদায় করে থাকে। কেউ চাদাঁ দিতে অস্বীকার করলে বিজিবি’র টহল দল পাঠিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে থাকে। একই কায়দায় ৯ জুন শুক্রবার দুপুরে সাগরে বিজিবি ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এক লাখ টাকা চাদাঁ না দিলে ওই মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয় বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে লবন চাষী জাফর আলমকে। বাস টার্মিনাল এলাকায় চাদাঁ দাবীকালে শামসুকে ধরে পেটাতে থাকে এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফেলে কৌশলে রোহিঙ্গা যুবক শামসু পালিয়ে বাচেঁ। পরে এলাকাবাসী মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার কহিনুর আকতারের হাতে জমা দেয়। ভুক্তভোগী জাফর আলম বলেন, রোহিঙ্গা যুবক সামশু বিজিবি’ কর্মকর্তার নামে এক লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করে মোবাইলে কথা বলার জন্য বলে। অপর প্রান্ত থেকে সিও পরিচয় দিয়ে সাধু ভাষায় চাদাঁ দিতে বলে না হয় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। আমি একজন লবন চাষী এতো টাকা কোথায় পাবো, এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে ধরে কিলঘুষি দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার আগে এক পর্যায়ে পালিয়ে যায় সে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।

এ প্রসংগে কাউন্সিলার কহিনুর আকতার বলেন, বিজিবি’র অধিনায়কের নামে ভিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাদাঁ দাবীর ঘটনায় এক পর্যায়ে স্থানীয় জনসাধারণ ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সময় রোহিঙ্গা যুবক কৌশলে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনটি তার হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে বিজিবি টেকনাফ কম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ধরনের সংবাদ অবগত নন তিনি। তা ছাড়া এ ধরনের র্সোসও তাদের নেই , কেউ যদি বিজিবি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ আদায়ের চেষ্টা করে তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোর্পদ করারও আহবান জানান ওই কর্মকর্তা।