মো. ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদে মামলার বাদিকে মামলা নথির অবিকল নকল কপি/ফটোকপি না দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগি মামলার বাদি উচ্চ আদালতে আশ্রয় নিতে না পারায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, জমির বিরোধ নিয়ে বিগত জানুয়ারী মাসে টইটং বনকানন এলাকার আবদুল কাদের নামের এক ব্যক্তি বড় পাড়া এলাকার কবির আহমদকে বিবাদী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গ্রাম আদালতে। অভিযোগের প্রথম শুনানীতে বাদি বিবাদীর উপস্থিতিতে প্রাথমিক শুনানী হয়। ওই সময় বিবাদীকে জমি ক্রয়ের স্টাম্প হাজির করার নির্দেশ প্রদান করেন গ্রাম আদালত। কিন্তু পরের শুনানীতে বিবাদী স্টাম্প হাজির করায় বাদি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে গ্রাম আদালতে আর উপস্থিত হয়নি। এ সুযোগে ইউপি’র গ্রাম আদালত বিবাদীর পক্ষে রায় প্রদান করেন। বাদিকে এ বিষয়ে কোন ধরণের অবগত করেনি বলে বাদি নিজেই অভিযোগ করেন। বিগত ৩/৪দিন আগে বাদি জানতে পারে বিবাদীর পক্ষে রায় প্রদান করা হয়েছে। সে তাৎক্ষনিক ভাবে ইউপি কার্যালয়ের গ্রাম আদালতে উপস্থিত হয়ে সচিবের কাছে এ বিষয়ে ব্যখ্যা দাবী করেন। সচিব চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ প্রদান দেন। পরে তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য মামলার মূলনথি ও রায়ের নকল কপির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ইউপি’র সচিব তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদি হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন।
মামলার বাদি আবদুল কাদের জানান, মামলার নথির অবিকল কপির জন্য কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছি। সর্বশেষ একটি ফটোকপি চাইলেও তারা দিতে অপরাগত প্রকাশ করেন। যার কারণে আমি উচ্চ আদালতের ধারস্থ হতে পারছিনা। এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম জানান, মামলার নথির নকল কপি নিতে আদালতের আদেশ লাগবে। আদালতে আশ্রয় কিভাবে নিবে জানতে চাইলে তিনি বাদিকে তার সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।