ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে চার সেনাসহ মোট ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত সেনাবাহিনীর চার সদস্যের মধ্যে মেজর ও ক্যাপ্টেন র‌্যাংকের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য এসেছে। এর মধ্যে চারজন সেনাবাহিনীর সদস্য। তারা হলেন মেজর মাহফুজ, ক্যাপ্টেন তানভীর, কর্পোরাল আজিজ ও সৈনিক শাহীন।

এছাড়া সেনাবাহিনীর দুই সদস্য নিখোঁজ আছেন। জেলাগুলোতে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, রাঙামাটির মানিকছড়িতে পাহাড়ধসের ঘটনায় সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাসহ চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ আছেন তাদের এক সদস্য। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০ সদস্য।

এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জাগো নিউজকে তিন জেলায় পাহাড়ধসে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাহাড়ধসের এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে রাঙামাটিতে ৩০ জন, বান্দরবানে আট এবং চট্টগ্রামে ১২ জন রয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।

মায়া বলেন, এ দুর্যোগের ঘটনায় চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয় নিয়েছেন। যতদিন আবহাওয়ার উন্নতি না ঘটবে ততদিন তারা সেখানেই থাকবেন। তাদের জন্য থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য তাৎক্ষণিক ৫০০ টন চাল ও ১২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে আপাতত ২০ ও আহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।’

আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল না- এ অভিযোগ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল। সাধারণত ২ কিংবা ৩ নম্বর সংকেত পেলেই ওই এলাকার প্রত্যেক জেলা প্রশাসাককে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়। এবারও তাই করা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই মাইকিং শোনার পরও আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও বান্দরবান এবং চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যের কোনো অভাব নেই। সহায়তা করতেও কৃপণতা নেই।

মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন ত্রাণ মন্ত্রী মায়া।

তিনি বলেন, অল্প কিছুদিন আগে উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় `মোরা` আঘাত হানে। কিন্তু আমরা সে দুর্যোগ ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছিলাম। এটাও মোকাবেলা করা হবে।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, রাঙামাটির মানিকছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনায় সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ আছেন সেনাবাহিনীর এক সদস্য। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০ সদস্য।

এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে তিন জেলায় পাহাড় ধসে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রাঙামাটিতে ৩০ জন, বান্দরবানে আটজন এবং চট্টগ্রামে ১২ জন রয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।