পটুয়াখালী জেলার বাউফলের ছেলে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তানভীর সালাম শান্ত। বিয়ে করে ঘড় বেঁধে ছিলেন মাত্র ১০ মাস আগে।
কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এখনও সতেজ বিয়ের স্মরণীয় মুহূর্তের ছবি। প্রতিটি ছবিতে হাতে হাত রেখে হাস্যোজ্জ্বল স্বামী-স্ত্রী। হয়তো কথা ছিল জীবনভর একসঙ্গে চলার। বছর না পেরোতেই কথা রাখেননি তানভীর।
মঙ্গলবার রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশ মাত্রিকার টানে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর সময় ফের পাহাড় ধসে অন্য ৬ জনের সঙ্গে প্রায় ৩০ ফুট নিচে পড়ে প্রাণ হারান তিনিও। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক সেনা সদস্য।
পটুয়াখালী জেলার বাউফলের ছেলে তানভীর ২০০৯ সালে যোগদান করেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে। ৬৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে কমিশন লাভ করেন তিনি।
পরে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদায় পদোন্নতি পান। বিয়ে করেন ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর।
তার ফেসবুকের কাভার ফটোতে আছে পবিত্র কুরআনের সুরা হাশরের একটি আয়াতের অনুবাদ। যেখানে লেখা আছে_ ‘যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে।’
গত ৭ জানুয়ারি সমুদ্রপাড়ের কোনো হোটেলের সুইমিংপুলে তোলা দু’জনের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছেন ‘লাভ অব মাই লাইফ’। ওয়ালে রয়েছে দু’জনের হাস্যোজ্জ্বল একাধিক ছবি। আজ থেকে যা স্মৃতি।
এদিকে নিহতের ওই পরিবারের স্বজনদের চলছে এখন শোকের মাতম। মৃত্যুর খবর পেয়েই রাজধানীর উদ্দেশ্যে চলে যান বাবা ছালাম মোল্লা ও মা বাবলী বেগম।
ক্যাপ্টেন তানভির এক ভাই এক বোন।
তানভীরের এমন আকষ্মিক মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে তানভীরের পুরো পরিবার।
তানভীরের চাচা মোজাম্মেল মোল্লা বলেন, পরিবারের একমাত্র গর্বের ধন তানভীরকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছে সবাই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।