একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বাধিক ২০টি সিম রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০টির মধ্যে পাঁচটি প্রিপেইড, বাকিগুলো পোস্টপেইড রাখা যাবে। তবে একটি এনআইডি দিয়ে এর বেশি সিম নিবন্ধন করা হলে তা বাতিল হয়ে যাবে।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী নিবন্ধিত সিম যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম বলেন, “একটি এনআইডির বিপরীতে কয়টি সিম আছে, তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম’-এর কার্যক্রম আগামী বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুরু হবে। পরবর্তী ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিম বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩০ মে পর্যন্ত যেসব সিম নিবন্ধন হয়েছে, তার তথ্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে রয়েছে। একটি এনআইডির বিপরীতে হয়তো গ্রামীণ ২০, বাংলালিংক ২০টি এভাবে অনেক সিম নিতে পারেন। আমাদের কাছে এমন তথ্য নেই, আসলে একটি এনআইডির বিপরীতে কে কয়টি সিম নিয়েছেন।’
“‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম’-এর কার্যক্রম শেষ হলে আমরা বুঝতে পারব যে একজন মানুষ কতগুলো সিম নিয়েছেন। যদি ২০টির বেশি হয়, সেগুলো বন্ধ করার জন্য গ্রাহককে নোটিশ দেওয়া হবে, মোবাইলে মেসেজ দেওয়া হবে”, যোগ করেন তারানা হালিম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যেকোনো অপারেটরের ২০টি সিম নিতে পারবেন। আশা করা যাচ্ছে, শুক্রবার বিকেলের দিকে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হবে। যার কোম্পানির যাচাই-বাছাই আগে হয়ে যাবে, সেই কোম্পানি ওই সময় থেকেই সিম বিক্রি করতে পারবে।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।