শুরুর ধাক্কাটা দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে স্বরূপে ফিরলেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে মুশফিকুর রহিমও ছন্দে ফিরলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ‘একটার সঙ্গে একটা ফ্রি’ যুগ থেকে এখনও যে বেরোতে পারেনি টাইগাররা! তাই তামিম-মুশফিকের ১২৩ রানের জুটির পরও স্কোর বেশিদূর যায় না। ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংটা হয়ে ওঠে আরও ধারালো। সেমিফাইনালের উত্তেজনাকর লড়াইয়ে তামিম-মুশফিক বাদে অন্যরা ব্যর্থ। এরপরও শেষ দিকে মাশরাফি ব্যাটে ঝড় তোলায় ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ২৬৪ রান।
বার্মিংহামের এজবাস্টনের সেমিফাইনালে বারবার ফিরে আসছিল দুই বছর আগের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল। মিলে গেল শুরুটাও। মেলবোর্নের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের টসও জিতল ভারত। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিং নিলেও এই ম্যাচে বিরাট কোহলি নিলেন বোলিং। তার সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথম ওভারেই তিনি ফেরান সৌম্য সরকারকে। নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে সৌম্যকে বোল্ড করেন শূন্য রানে।
শুরুর ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ দারুণভাবে। উইকেট হারালেও সাব্বির মাঠে নেমেই তোলেন ঝড়। ভারতীয় বোলারদের ওপর ঝড় তুলে তামিমকে নিয়ে এগিয়ে নেন দলের স্কোর। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ২১ বলে ১৯ রান করে ভুবনেশ্বরের দ্বিতীয় শিকার হন সাব্বির।
তার আউটের পরই শুরু তামিম-মুশফিকের প্রতিরোধ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১২৩ রান। ধীরগতিতে শুরু করা তামিম তার খোলস ভেঙে ফেরেন নিজের ছন্দে। ভারতীয় বোলারদের শাসন করেন তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৮তম হাফসেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পথেও এগোচ্ছিলেন এই ওপেনার। তবে ৭০ রানেই তাকে থামান কেদার যাদব। এই স্পিনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৭ চার ও এক ছক্কায়। ক্রিকইনফো
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।