এম.ডি ম্যাক্স
চমতকার একটি সু্যোগ নষ্ট করল বাংলাদেশ, যেতে পারলনা চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালে, হেরে গেল শক্তিশালী ভারতের কাছে।
টসে হার দিয়ে শুরু,ব্যাটিং এ বাংলাদেশ, প্রথম ওভারেই
সৌম্য প্লেইড অন ঠিক আছে,কিন্তু কয়েকটি লফটেড শট খেলার পরে ও কেন সাব্বির স্লোয়ারে কাট করতে গেলেন?
দায়িত্বশীল ব্যাট করলেন টেস্ট কেপ্টেইন মুশফিক,ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে যাওয়া তামিমের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরাটাই ডুবিয়েছে দল কে। শেষের দিকে মাশরাফির ক্যাপ্টেন্স নকে ভারতের সামনে টার্গেট ২৬৫.
যেখানেই শুন্য রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট সেখানে কোন উইকেট না হারিয়ে ভারতীয় ওপেনারদের সংগ্রহ ৮৭, পার্থক্য ত এখানে রচিত হল।
মুল সমস্যা বোলিং এ, শর্ট বল পুল করলেন শেখর ধাওয়ান, বাউন্ডারি, পরের বল আবারো শর্ট এবারে হুক, ছক্কা, অথচ স্কয়ার লেগ আর মিডউইকেট খালি পরে আছে। একইই সমস্যা দেখা গেল রোহিত শর্মাকে ফেস করার সময়ে, অফস্টাম্পের বাইরে বল,কাট,ড্রাইভ সব করছেন অথচ সুইপার কোন ফিল্ডার নেই, অধিনায়কত্বে এই ম্যাচে অনেক ভুল, ফিল্ডিং পজিশন ছিল খুবই বাজে, আর ছিলনা বোলারদের মাঝে ধার বা বৈচিত্র্যময়তা। এমনিতে এরকম একটি টোটাল বিশাল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের জন্য কিছুই নয়। অপরদিকে ভারতীয় বোলাররা অনেক বোলিং ভেরিয়েশন দেখিছেন, একটি দ্রত গতির বাউন্স ছুড়লে আরেকটি কম গতি সম্পন্ন ইয়র্কার। অপরদিকে কাজ হয়নি বাংলাদেশের স্পিনারদের টার্ন, ভাল অবস্থানে ছিল বলেই পতিপক্ষ স্ট্রাইক রোটেট করার দিকে মনযোগী হলেন বেশি। সোজা ব্যাটে খেলে সহজেই চলে গেলেন ফাইনাল চিরপ্রতিদ্বন্ধীর সাথে মোকাবেলায়। সর্বোপরি বাংলাদেশের মুল সমস্যা এই ৭ টিই, ১, বাজে ওপেনিং ২, স্লো ব্যাটিং ৩, নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন ৪, অনুপযোগ ফিল্ডিং পজিশন
৫,সাদামাটা বোলিং ৬, বড় ম্যাচে স্নায়ু চাপ এবং
৭, ক্যাপ্টেন্সিতে অপেশাদারিত্ব।
লেখক, সি বি এন এর ইংরেজী প্রতিবেদক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।