এম.এ আজিজ রাসেল
১৫ জুন বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের অঙ্গ রাজ্য এজবাস্টনে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রপির দ্বিতীয় সেমিফানালে মুখোমুখো হয় বাংলাদেশ-ভারত। হাই ভোল্টেজ ম্যাচটি উপভোগ করতে কয়েক দিন আগে থেকেই উদগ্রীব ছিল সেখানে ইংল্যান্ডে বসবারত বাংলাদেশীরা। তাদের সাথে অধীর আগ্রহ নিয়ে মাঠে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ইংল্যান্ডে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা কক্সবাজারের সন্তান মরহুম এডভোকেট নজরুল ইসলামের কনিষ্ট পুত্র জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়ের আদরের ছোট ভাই আশফাক আহমদ ইভান। কিন্তু ম্যাচের কয়েকদিন আগে থেকে সেমিফাইনালের অধিকাংশ টিকেট ভারতীয় সমর্থকদের দখলে চলে যায়। তার মধ্যে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অতিকষ্টে কাঙ্খিত টিকেট সংগ্রহ করে ইভান। মাঠে যাওয়ার আগে চলে নানা প্রস্তুতি। বিশ্বের মাঝে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সহযোগীদের সহায়তায় কক্সবাজার সম্বলিত প্লেকার্ড ও নানা ঢঙে নিজেকে সাজিয়ে তুলেন ইভান। অবশেষে প্রত্যাশিত ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারীতে নিজের আসন পাকাপোক্ত করা হয়। ম্যাচ চলাকালে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দিয়ে টাইগার বাহিনীকে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি দেশের পতাকা ও কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে জানান দেয়া হয় ফুলেল অকৃত্রিম শুভেচ্ছা। মাঠ জুড়ে তার উদ্দীপনাও কম ছিল না। ম্যাচের শেষ অবদি গ্যালারী জুড়ে কক্সবাজারের পক্ষ হয়ে হইহুল্লোড় আর নেচে-গেয়ে তার মাঝে জাগ্রত হয় হৃদয়ের মণিকোঠায় লুকায়িত দেশ প্রেম। এসময় বিভিন্ন ভারতী, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মাঝে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় ইভান। এ যেন এজবাস্টনে এক টুকরো কক্সবাজার। লাখো দর্শকের মাঝে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ক্যামরাবন্দিও হয় সে। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক বাংলাদেশ দলই তার কাছে সেরা। তার প্রত্যাশা একদিন এই বাংলাদেশই ক্রিকেট বিশ্বে এক নম্বর দলে পরিণত হবে।
এজবাস্টনের গ্যালারীতে এক টুকরো কক্সবাজার!
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।