এম,ডি, ম্যাক্স।
অবিশ্বাস, অসাধারণ আর বিস্ময়কর, যে কাজটি করতে পারলেননা তার উত্তরসুরিরা সেই কাজটিই করে দেখালেন  পাক অধিনায়ক সারফাজ আহমেদ।

একসময় ভারত পাকিস্তানের লড়াইয়ে পাকিস্তানের জয়ের পাল্লা ছিল অনেক ভারী, কিন্তু ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বড় টুর্নামেন্টে ভারত একতরফা জিতে চলছিল,ইমরান খান,আবদুল কাদের,জাভেদ মিয়াদাদ, ওয়াসিম আকরাম, সেলিম মালিকরা একসময়  গাভাসস্কার, কপিল দেব,শ্রীকান্তদের দীর্ঘদিন যাবত নাকানিচোবানি খাওয়েছিলেন , যখন বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের পক্ষে শচীন,কাম্বলী,শ্রিনাথ,জাদেজা,শেওয়াগ, যুবরাজদের আগমন ঘটল তখন দুদলের সমীকরণ উল্টে গেল। পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক যে অবস্থা তাতে এই ফাইনালে যাওয়াটা খুবি জরুরি ছিল। আজকের ফাইনালটা খেলার চেয়েও স্নায়ু যুদ্ধ ছিল বেশী।
এই ফাইনাল  ম্যাচটি ছিল  গত দশ বছরে পাক ভারত প্রথম ফাইনাল, ৩১২ রানের মত টার্গেট চেজ করেও জেতার অভিজ্ঞতা ভারতের আছে ঢাকার মাঠে।কিন্তু আজকের ফাইনাল তার ধারেও যেতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।
আজকের জয়ে কি পাকিস্তান আবারো জয়ের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসল?  ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে ওপেনারদের কে বিশাল রানের পাহাড় গড়তে ভুমিকা নিতে হয়,তাই করলেন দুই আত্মবিশ্বাসী পাক ওপেনার ফাকার ও আজহার,রান আউট না  হলে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠত এই ব্যাটসম্যানদ্বয়।
৩৩৯ রান ভারত  ত অনেকবার চেজ করেছে, কিন্তু সেই দিন কি আছে যখন শ্চীন, সৌরভ একটি ভিত্তি গড়ে দিতেন আর বাকীরা ইনিংসটি কেরি করে নিয়ে যেতেন জয়ের বন্দরে। পাকিস্তান দলের যদি একটি অস্ত্র থেকে থাকে তা হল তাদের বোলিং, গতি, কেন টসে জিতে বিরাট কোহলি  তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে মুখামুখি হতে চাইলেন তা বোধগম্য হচ্ছেনা অনেকের। নিজেই লিডিং এজে ফাদে পরলেন।  তবে কোহলির দাম্ভিকতা অনেকেই ভারতের পরাজয়ে খুশি।আর আমির এবং হাসান পাকিস্তানের, সারফাজ নেওয়াজ,ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম  সেইসব বোলারদের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন।   প্রথম সারির ব্যাটসম্যান রোহিত,কোহলি,ধাওয়ান এবং সর্বশেষ যুবরাজের দ্রুত বিদায় ভারতরে কফিনে আরেকটি পেরেক এটেঁ  দেওয়া হল।
এতবড় স্কোর  টপকাতে একটি যে পার্টনারশিপের দরকার ছিল তা আর হয়ে উঠেনি, হারডিক পান্ডায়া তার ৭৬ রানের ইনংস    দিয়ে কিছুটা পরাজয়ের ব্যবধান কমালেন শুধুমাত্র। মুলত গতির কাছে  শিল্পের হার ।  কি স্পিন, কি ফাস্ট আর কি ব্যাটিং সব বিভাগেই  নিয়ন্ত্রণে ছিল পাকিস্তান।  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন  দিক ছিল ব্যাটিং  এর পাক ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতা, ফাইনালে ৩৩৮ রানের স্কোর এরকম একটি হাইভল্টেজ ম্যাচে অবিশ্বাস্য। ভারতীয়রা এত কম রান (১৫৮) করে যে নুন্যতম লড়াই করতে পারলনা তা ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নবিদ্ধ  করবে। শারজাহ কাপের পর থেকে এরকম ফাইনালে পরাজয় ভারতের তেমন নেই পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাই বলা যায়  দেশবাসীকে বিরাট এক ঈদ উপটোকন দিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

লেখক, ইংরেজী প্রতিবেদক,  সি,বি,এন।