মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
কক্সবাজার জেলার মেধা কচ্ছপিয়া নামটি জনপ্রিয়তা সিরিজের শীর্ষে অবস্থান নিতে যাচ্ছে। কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বনবিটের ৩৯৫ দশমিক ৯২ হেক্টর বনাঞ্চল ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল পরিবেশ ও বন মন্ত্রানালয়ের মাধ্যমে মাধ্যমে ন্যাশনাল পার্ক ঘোষনা করেন। সরকারি এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে মনে করেন স্থানীয় মহল। পুরনো ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর এই মেধা কচ্ছপিয়া। ১৯১৯ সালে গ্রামটি প্রতিষ্টা লাভ করে। এই মেধাকচ্ছপিয়ার অতিথের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অবদানের স্বাক্ষর রাখছেন সর্বত্র। আবার বর্তমান প্রজন্মের অভিযোগও রয়েছে ওই মেধাবীদের প্রতি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্টা সহ সরকারী-বেসরকারী সেক্টরে মেধাকচ্ছপিয়ার মেধাবীদের অবস্থান থাকলেও নিজ এলাকার জন্য উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখেনি। প্রচেষ্টা থাকলে শিক্ষাদীক্ষায় আরো উন্নয়নশীল এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এখনো ভূমিকা রাখতে পারে স্থানীয় শিক্ষিত সমাজ। তবে পিছিয়ে নেই এই উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া। দেশের প্রকৃতিক সম্পদের ভরপূর তৎসংলগ্ন এলাকায়। লবণ ও মৎস শিল্প যেন ওই এলাকার উন্নয়নের একমাত্র চাবিকাঠি। বছরের অর্ধেক সময় লবণ হলে বাকী অর্ধেক সময় মৎস শিল্পে নিয়োজিত এ এলাকার সর্বাধিক জনসাধারণ। এতে করে সরকার পাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। অপরদিকে বেকারত্ব বন্ধ হওয়ায় এলাকায় কমে গেছে অপরাধ প্রবণতা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম উদ্দিন বলেন “সরকারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখানে নির্মিত জাতীয় উদ্যান।এটি পুরো বাংলাদেশে একদিন অত্যন্ত সুপরিচিত লাভ করবে বলে আশাকরি। আর আমার এলাকার লোকজন লবণ ও মৎসের উপর নির্ভর করে এখন উন্নয়নমূখী। একটি আদর্শ এলাকা উপহার দিতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।” তবে এ শিল্পকে আরো সমৃদ্ধিশালী করতে উত্তর মেধাকচ্ছপিয়াতে সরকারি নজরদারী অব্যাহত দাবী জানান এলাকার শিক্ষিত যুবক মোঃ ইমরান সহ স্থানীয়রা। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে শতশত একর বিশিষ্ট মৎস ঘেরে যোগাযোগের মাধ্যম উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া সড়কটি বেস নাজুক অবস্থা। প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী চলাচল এই সড়ক দিয়ে।

এলাকাবাসী জানান জীর্ণ শীর্ণ ব্রীকসলিং সড়কটি যদি কার্পেটিং হয় জনসাধারণের পাশাপাশি লাভবান হবে সরকার। কেননা সরা বছর লবণ ও মৎস প্রজেক্টে যোগাযোগ এই সড়কটি। এবিষয়ে লবণ ও মৎস ব্যবসায়ীদের মধ্যে মত ব্যক্ত করেন স্থানীয় এহেসানুল হক, ফরিদ আলম, বশির আহমদ, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, নুরুল আমিন, শফি আলম, আবদু রহিম, রেজাউল করিম, কামাল উদ্দিন প্রমুখ।