বাংলা নিউজ:
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শিক্ষার্থীকে আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলা গ্রহণ করে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার (১৯ জুন) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল কবির।
গত ১৮ মে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আনোয়ার হোসেন তাকে আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত হেফাজতে নির্যাতন নিবারণ আইন অনুযায়ী চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারকে এই আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছিল, গত ১২ মে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাইয়ের রাজনৈতিক মামলার ওয়ারেন্ট তামিল করতে বাড়িতে যায় পুলিশ। এসময় ওয়ারেন্টের বিষয়ে পুলিশের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ আনোয়ারকে আটক করে থানায় এনে বেধড়ক মারধর করে আদালতে চালান দেয়। পরে ১৬ মে আদালত থেকে জামিন নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
একই ঘটনায় ২৫ মে আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন আনোয়ারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি লোহাগাড়ার ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ আনেন।
তবে মারধরের অভিযোগ মামলা দায়েরের পর থেকে নাকচ করে আসছেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নাশকতার মামলার আসামি হারুনকে গ্রেফতারের জন্য গেলে তার বাড়ির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আনোয়ার হকিস্টিক দিয়ে মেরে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করে। ওই পুলিশ সদস্য চমেক হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় আনোয়ারকে আসামি করে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে এখন পুলিশকে আসামি করে মামলা করা হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।