মানুষের রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেশি হলে সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে।
রক্তে কোরেস্টরেলের মাত্রা কমানোর জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন।
কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো প্রতিদিন ঔষধ সেবন করত হবে না।
অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, তারা এমন একটি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন যেটি রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। ইতোমধ্যে ইঁদুরের উপর এর সফল প্রয়োগ হয়েছে।
এখন মানুষের উপর এর গবেষণা চালানো হচ্ছে। এজন্য ৭২জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এ টিকা প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে এটি সত্যিই কাজ করছে কী না।
এটি সফল হলে কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে ঔষধ সেবন করতে হবে না। টিকা দিলেই কোলেস্টরেল কমে আসবে এবং সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।
তবে মানব দেহের জন্য এ টিকা কতটা নিরাপদ এবং কার্যকরী হবে সে বিষয়টি দেখতে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ছয় বছরের মধ্যে এ টিকা হয়তো বাজারে আসতে পারে।
কিন্তু গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি বাজারে আসলেও ব্যায়াম পরিহার করা এবং অধিকমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
এ টিকা নিলেও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন করতে হবে। এ টিকা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল তৈরি হওয়া ঠেকাবে।
গবেষকরা ধারনা করছেন, প্রতি বছর একবার এ টিকা নেবার প্রয়োজন হতে পারে।
ইঁদুরের উপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, এটি একবার প্রয়োগ করার ফলে বারো মাসে খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা ৫০ শতাংশ কমেছে।
কোলেস্টরেল হচ্ছে চর্বির একটি উপাদান। মানবদেহের শরীরের জন্য এটি প্রয়োজন। কিন্তু এলডিএল কোলেস্টরেল বেশি থাকলে সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
কোরেস্টরেল কমানোর জন্য বাজারে ঔষধ থাকলে অনেকে সেটি নিয়ম করে সেবন করতে পারেন না। তাছাড়া সবার ক্ষেত্রে সে ঔষধ সমানভাবে কাজ করে না ।
সেজন্য গবেষকরা আরেকটি বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন।
সেজন্য এ ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় নেমেছিলেন তারা।
কিন্তু এ টিকার একটি নেতিবাচক দিক থাকতে পারে। এর ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।