আব্দুল আলীম নোবেল
নারী লোভী প্রতারক মুহাম্মদুল্লাহর বিরুদ্ধে অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী উল্টাখালী এলাকার ভুক্তভোগী এক নারী ওই মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে মামলাটি কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীরের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার আসামী মুহাম্মদুল্লাহ কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ সিকদার পাড়ার আবু ছৈয়দের ছেলে বলে জানা গেছে। মুহাম্মদুল্লাহর বিরুদ্ধে শুধু এই মামলা নয় তার বিরুদ্ধে একাধিক বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা জায়, ভারুয়াখালীর উল্টাখালী বাসিন্দা হাজি মুহাম্মদ ইসলামের এক মেয়ের সাথে গত ২৫/১১/২০১৩ সালে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়েছিল মুহাম্মদুল্লাহর সাথে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, প্রতারক মুহাম্মদুল্লাহর পেছনে মোটরসাইকেলসহ বিয়ের সময় প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। বিয়ের কয়েকমাস পর শাশুড়বাড়ীর খরচে মেয়ের সুখের জন্য সৌদি আরবেও পাঠানো হয় তাকে। সেখানে কয়েক মাস থাকার পর মেয়ের ভাইয়ের দোকান থেকে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল নিয়ে পালিয়ে আসে। যা বাংলাদেশী টাকায় ১০ লাখেরও বেশি। পালিয়ে আসার পর থেকে তাকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে হাজি ইসলামের মেয়ে বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৭৬/৫১৪। এই মামলায় চারজনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলেন, মুহাম্মদুল্লাহ, তার ভাই সাজ্জাদ, রাশেদ ও বোন শাহেদা আক্তার।
এদিকে এই মুহামুদুল্লাহ হাজী ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করার আগে সে চকরিয়ার দুলাহাজারার বালুরছড়া এলাকার আহামদ আলীর মেয়ে কানিজ ফাতেমা লিপি নামে আরেক মেয়েকে বিয়ে করে। ওই ঘরে এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে তার। একজন স্ত্রী সন্তান থাকার পরও মুহাম্মুদুল্লাহ যৌতুক এবং প্রতারণার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আরেক মেয়েকে বিয়ে করে। স্থানীয় পুলিশ তাকে ধরতে একাধিকবার চেষ্টা করেও রহস্যজনক কারণে ব্যর্থ হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রতারক মুহামুদ্দুল্লাহকে ধরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।