বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপিপন্থি এক আইনজীবী। মামলার বাদী মো. এনামুল হক চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
দ্রুত বিচার আইন ২০০২ (সংশোধিত ২০১৪) এর ৪ ও ৫ ধারায় বুধবার এ অভিযোগ দায়েরের পর চট্টগ্রামের অতিরিক্তি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার বাদীর বক্তব্য শুনে তা আদেশের জন্য রেখেছেন।
অভিযোগে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে যে ২৬ জনের নাম দেওয়া হয়েছে তারা সবাই রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান বাদী এনামুল হক।
এরা হলেন, মো. সরওয়ার, নাজিমুদ্দিন বাদশা, রাসেল, মহসীন, জাহেদ, আলমগীর, নঈমুল ইসলাম, শিমুল গুপ্ত, পাভেল বড়ুয়া, মো. জাহেদ, ইকবাল হোসেন বাবলু, নাহিম, মো. ইউনুস, শামসুজ্জোহা সিকদার আরজু, আবু তৈয়ব, এনামুল হক, রাসেল, সাইফুল, মাহাবুব, আনোয়ার, নেসার উল্লাহ, বেলাল, মুজাহিদ, বাপ্পা, মো. হারুন, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা।
মামলার বাদী আইনজীবী এনামুল হক বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে এবং বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত বক্তব্য শুনে আদেশের জন্য রেখেছেন।
পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙামাটি দেখতে যাওয়ার পথে রোববার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হামলার মুখে পড়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহর।
গাড়িবহরে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমও ছিলেন। হামলার জন্য বিএনপি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদের অনুগতদের দায়ী করেছেন।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে হাছান মাহমুদ প্রথমে বলেন, মির্জা ফখরুলদের গাড়ির ধাক্কায় স্থানীয় দুজন আহত হলে বিক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা এ হামলা করে। পরে তিনি বলেন, হামলাটি স্থানীয় বিএনপির দুটি অংশের কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।