ঈদ বানান ‘ঈ’ দিয়ে হবে নাকি ‘ই’ দিয়ে হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বইছে বিষয়টি নিয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘ঈদ’ বানান বিতর্ক নিয়ে কথা হয় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সঙ্গে। তিনি বললেন ‘বানান তো ঠিকই আছে।’ পরিবর্তন ডটকমকে শামসুজ্জামান খান বলেন,‘আমাদের অভিধান দেখেন এখানে ঈদের বানান কি কি আছে? আধুনিক বাংলা অভিধান দেখেন সেখানে ঈদের বানান ‘ঈ’ দিয়েই লেখা আছে। আর বিকল্প বানান ‘ই’ দিয়ে আছে। এখানে দুটো বানানই আছে এবং প্রথম বানান ঈদ আছে।’
তিনি আরও বলেন,‘কিছু লোক চায় খামোখা বিতর্ক হোক। নানা লোক নানা মত দিয়ে যন্ত্রণা তৈরি করে। হঠাৎ করেই কেন বিতর্ক তৈরি করে তারা। তাদের উদ্দেশ্য কি আমি জানি না, না দেখে কথা না বলে ডিকশনারি দেখেন বানান ঠিকই আছে।’
গত কয়েকদিন ধরে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীসহ অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করছেন ‘ঈদ’ নিয়ে। কবি আবু হাসান শাহরিয়ার তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমি বানানরীতির বিস্তর সংস্কার এনেছে অভিধানে। তারই একটি– ‘ঈদ’ নয়, ‘ইদ’। সব ফেলে শুধু ইদ নিয়ে মাতামাতি কেন? ধর্মের গন্ধ আছে বলে? যোগ্যতা থাকলে পুরো বানান সংস্কার নিয়ে কথা বলুন, নইলে পণ্ডপাণ্ডিত্য প্রদর্শন না করে চুপ থাকুন। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।’
প্রখ্যাত সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেছেন ‘(সবাই লিখছে, আমিও লিখলাম) (ঈ) অক্ষরটি এমন কি অপরাধ করেছে যে তাকে সরিয়ে দিয়ে (ই) অক্ষরটিকে (ঈদ) শব্দে বসানো হয়েছে! তার মানে কি আমাদের শত শত বছরের লেখা পড়ায় ভুল ছিল? কিছু তো একটা কারণ নিশ্চয় আছে। কি কারণ, জানতে পারি কি, বাংলা + Academy? বাহ, এই নামটিও দেখছি অর্ধেক ইংরেজি অর্ধেক বাংলা!’
বাংলা একাডেমির ‘আধুনিক বাংলা অভিধানে’ ‘ঈদ’ শব্দটির ভুক্তি রয়েছে দুটি। এর মধ্যে একটি লেখা হয়েছে ‘ঈ’ ব্যবহার করে, অন্যটি ‘ই’ব্যবহার করে। তবে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত জামিল চৌধুরী সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা অভিধানে’ ঈদের বিকল্প বানান ‘ইদ’ প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
পরিবর্তন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।