ডেস্ক নিউজ:
ঈদে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ পোশাক শ্রমিক। তারা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাকে করে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাগান এলাকায় ট্রাকটি উল্টে গেলে শনিবার (২৪ জুন) ভোর ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১১ জন। আহত হন আরও ২৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে আরও ছয় জন মারা যান। এছাড়া, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন— আলমগীর (২৫), তার শ্যালক দেলোয়ার (২২), চাচাতো ভাই সাদ্দাম (২৩) ও মুনির (২২)। এদের সকলের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাট গ্রামে।
ওসি রেজাউল করিম জানান, সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি ঢাকা থেকে রংপুরে আসছিল। ট্রাকটি গাজীপুরে পৌঁছালে ৩০/৩৫ জন পোশাক শ্রমিক ও দিনমজুর তাতে চড়েন। এর মধ্যে সাত জন ছিলেন নারী। তাদের সবার বাড়ি লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ট্রাকটি পীরগঞ্জের কলাবাগান এলাকা দিয়ে দ্রুতবেগে যাওয়ার সময় ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে ট্রাকটি মসহাসড়কে উল্টে যায়।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেদুর্ঘনায় আহত খাদিজা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, স্বামী আলমগীর ও তিন দেবরসহ তারা একই পরিবারের পাঁচ জন ঢাকার একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘বাস না পাওয়ায় আমরা সিমেন্ট বোঝাই ওই ট্রাকে করে বাড়ি যাচ্ছিলাম।’ ট্রাকটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ট্রাক থেকে উদ্ধার করা সিমেন্টের বস্তাহাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাম জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এবং ছয় জনের মরদেহ পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।