লামায় ঈদের দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় অন্তত নিহত ৭ ও আহত ২৫ জন বলে জানিয়েছে প্রত্যেক্ষদর্শীরা। লামা-চকরিয়া রোডের মিরিঞ্জা পর্যটন সংলগ্ন বাকেঁ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন সিবিএনকে জানিয়েছেন, দূর্ঘটনাস্থল থেকে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে অন্য কয়েকটি গাড়ী যোগে চকরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এসময় কারো নাম পরিচয়ও পাওয়া যায়নি। তবে যাত্রীরা সকলে আলীকদম উপজেলার বাসিন্দা। জীপ (চান্দের গাড়ী) গাড়ী নং ঢাকা-ল ২১২।
মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকার বাসিন্দা ও প্রত্যেক্ষদর্শি মোঃ রুবেল (১৮) সিবিএনকে জানান, গাড়ীটি আলীকদম থেকে ভিতরে ও ছাদে যাত্রী বোঝাই করে চকরিয়া যাচ্ছিল। গাড়ীতে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৬ জন যাত্রী ছিল। পথে মিরিঞ্জায় পর্যটন এলাকায় এসে গাড়ীটি ব্রেকফেল হলে রাস্তার পাশের বড় একটি শিশু কড়ি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুছড়ে যায়। নিহত আহতদের অন্য গাড়ী করে চকরিয়া প্রেরণ করা হয়। গাড়ীটিতে ৬০ থেকে ৭০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ পাওয়া গেছে।
গাড়ীর যাত্রী রিমন (১৫) ও কপিল উদ্দিন (১১) বলেন, গাড়ী ব্রেকফেল হওয়া মাত্র ড্রাইভার গাড়ী থেকে নেমে পালিয়ে যায়। জানাগেছে, দূর্ঘটনাস্থলে ৭জন নিহত হয়েছে। চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো ২জনসহ ৯জন যাত্রী নিহত হয়েছে। চকরিয়া সরকারী হাসপাতালের পঃ পপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সোলতান আহমদ সিরাজী জানিয়েছেন, দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরো ১০/ ১৫ জনের অবস্থা আশংখাজনক রয়েছে।
এদিকে দূর্ঘটনা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু ও অফিসার ইনচার্জ লামা থানা আনোয়ার হোসেন। এছাড়া সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ান উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।