বিশেষ প্রতিবেদক :

আমিরাবাদ-লোহাগাড়ার ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও ডজনাধিক মামলার আসামী নূরুল আলম নূরু আবারো প্রকাশ্যে এসেছে। বিভিন্ন অপরাধে দীর্ঘদিন জেল খেটে গত বছর জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্নগোপন করলেও কয়েকদিন আগে আবারো গোপনে এলাকায় ফিরেছে চিহ্নিত এ সন্ত্রাসী। ফিরে আসার পর এলাকায় নির্মানাধীন বিভিন্ন বাড়ীর মালিক ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদার থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছে নূরু ও তার বাহিনী। গত কয়েকদিনে পূর্ব কলাউজানস্হ তার বাড়ীতে স্হানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী-চোর-ডাকাতদের আনাগোনা ও একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এতে নতুনভাবে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের আশংকায় ভূগছেন নিরীহ জনগন। এলাকাবাসী জানান, পূর্ব কলাউজান গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে নূরুল আলম নূরু (৪৫) কিশোর বয়স থেকেই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। চুরি-ডাকাতি, বন উজাড়, চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মারামারিসহ তার বিভিন্ন অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন এলাকাবাসী। চুরি-ডাকাতি ও জমি দখলের অপরাধে বিভিন্ন সময় গনধোলাইয়ের শিকারও হয়েছে নূরু। স্হানীয়রা জানান, রকমারী অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে ডজনাধিক মামলা হয় ও এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল খাটে সে। এরমধ্যে লোহাগাড়া থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নং ১০, তারিখ- ০৭/০৬/২০১৬, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা নং- ০৯, তারিখ- ০৯/০৫/১৫, বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা নং- ০৫, তারিখ- ০২/১১/২০১৩, মামলা নং ৩৭, তারিখ, ২৭/০৮/২০১৬, মামলা নং ০১, তারিখ, ০১/১০/০১, মামলা নং ১১, তারিখ ০৯/০৯/২০০১ ও মামলা নং ০২, তারিখ ০২/০৬/১৬ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বান্দরবান জেলার মামলা নং সি আর ১৭/০৬, সি আর ৬৩/০৬, সি আর ১৯১/০২ ও সি আর ৬২ /০৩ নং মামলার আসামী নূরু।
স্হানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, পূর্ব কলাউজান এলাকায় কেউ বাড়ী-ঘর নির্মান করলেই নূরু ও তার বাহিনীকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় বিভিন্নভাবে হয়রানি করে এরা। থানা-পুলিশের ভয়ে নূরু বিভিন্ন সময় এলাকার বাইরে থাকলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাহিনী নিয়ন্ত্রন করে।
স্হানীয়রা জানান, এলাকায় “চোরা নূরু”  নামে পরিচিত হলেও গত বছর নূরুল আলম চৌধুরী নাম ধারন করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জামানত হারায় সে। এতদিন পালিয়ে থাকলেও সে আবার এলাকার ফিরে আসার খবরে জনগনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত নূরু ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।