বিশেষ সংবাদদাতা
জেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি ইসলামী দাখিল মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলণী উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দিনব্যাপী এই উৎসবের শুরুতে সকালে খতমে কুরআন পরবর্তী প্রয়াত শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রবীন শিক্ষক মাওলানা মনিরুল আলম।
বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রাক্তন ছাত্র সংসদের আহবায়ক অধ্যাপক আবুল কাশেমের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়। এতে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে।
মাদরাসা সুপার মাওলানা বশির আহমদের সভাপতিত্বে পুনর্মিলণী উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহমান।
প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অাবুল কালাম।
এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল (মাস্টার্স) মাদরাসার শিক্ষক ডক্টর নুরুল আবছার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমদ, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আজিম (দাদা) প্রমুখ।
প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব সাংবাদিক ইমাম খাইর এর পরিচালনায় সভায় প্রাক্তনদের পক্ষে বক্তব্য দেন- মাওলানা শাহাব উদ্দিন আরমান ( ১৯৯০ ব্যাচ), এডভোকেট রফিকুল ইসলাম (১৯৯২ ব্যাচ), বিশিষ্ট ব্যাংকার মিজানুর রহমান (১৯৯৩ ব্যাচ), মুজিবুর রহমান (১৯৯৪ ব্যাচ), হাফেজ আবদুর রহিম (১৯৯৬ ব্যাচ), দেলোয়ার হোসাইন (১৯৯৭ ব্যাচ), আবদুল্লাহ আল হারুন (১৯৯৯ ব্যাচ), হাফেজ বেলাল উদ্দিন (২০০১ ব্যাচ), অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (২০০৩ ব্যাচ), অাবছার কামাল শাহীন (২০০৪ ব্যাচ), নুরুল হুদা (২০০৫ ব্যাচ), আলী আকবর (২০০৬ ব্যাচ), সালাহ উদ্দিন (২০০৮ ব্যাচ), কামাল হেসাইন (২০১১ ব্যাচ), আবুল কালাম আজাদ (২০১২ ব্যাচ), নুরুল কবির (২০১৩ ব্যাচ), আবদুর রহমান (২০১৪ ব্যাচ), আনসারুল করিম (২০১৫ ব্যাচ)।
‘সম্প্রীতির বন্ধনে এক হই অবিচ্ছেদ মহাসম্মিলনে’ এই প্রতিপাদ্যে ২০১৭ সালের প্রথম ‘পূনর্মিলী উৎসব’ উদ্যোক্তাদের পক্ষে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী অাবদুল্লাহ খান (২০০৯ ব্যাচ)।
মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন বাঁশকাটা যুব কিশোর সংস্থা (বাযুকিস) এর পক্ষে অধ্যাপক আবদুল হামিদ, এম জাফর আহমদ এবং মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য প্রাক্তন ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে বাঁশকাটা যুব কিশোর সংস্থা (বাযুকিস), মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও মাদরাসাকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দোয়া মিলাদের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা বজল আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক, মাদরাসা পরিচালনা কমিটি, বাযুকিসের সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে।
আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল জেলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রবাল শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ফটোগ্রাফী ও ভিডিওগ্রাফিতে ছিলেন কক্সমাল্টিমিডিয়ার পরিচালক শর্ট ফিল্ম নির্মাতা মনছুর আলম।
সব শেষে প্রাক্তন ছাত্র সংসদের আহবায়ক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটিতে রূপান্তর করা হয়।
কমিটির দায়িত্বশীলরা হচ্ছেন- সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, শাহাব উদ্দিন আরমান, সাধারণ সম্পাদক ইমাম খাইর, যুগ্ম-সম্পাদক শওকত আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ খান, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল কবির, অফিস সম্পাদক মনছুর আলম।
কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- মুজিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসাইন, বশির আহমদ, লোকমান হাকিম, ওয়াসিম আকরাম, মাহবুবুর রহমান, নুরুল হুদা, জিয়াউল হক, নুরুল কবির রানা, সালাহ উদ্দিন। নবগঠিত এই কমিটির মাধ্যমে মাদরাসার উন্নয়নে সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।