নিউজ ডেস্ক:
বেশ কিছু পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের (২০১৭-১৮) বাজেট পাস হচ্ছে আজ। এর আগে আলোচনা হবে ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে।

গতকাল বাজেট আলোচনায় আগামী বাজেটে রাজস্ব খাতে বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ওই প্রস্তাবের আলোকে কাটছাঁট করে সংসদে তা চূড়ান্ত পাসের জন্য আজ প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গত ১ জুন জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ ও সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশ বড়।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপির) মাধ্যমে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এডিপির বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পে ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া এডিপি এক লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা, মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশ এবং বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ব্যাবস্থাপনা থেকে ঋণ, সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ বাকি অর্থ বিদেশি সহায়তা হিসেবে গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব খাতে মোট আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে সংগ্রহের লক্ষ্য ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।

রাজস্ব আহরণের মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আয়কর থেকে ৮৬ হাজার ৮৬৭ কোটি ও আমদানি-রফতানি পর্যায়ে শুল্ক থেকে ৬৮ হাজার ২১২ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রায় প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ২৯ শতাংশ। তবে নতুন ভ্যাট আইন পিছিয়ে যাওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে এনবিআরকে।