মোহাম্মদ ম্যাক্স :
জমে উঠছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা, ঈদেরছুটি পুরোপুরি উপভোগ করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
গত কয়েকদিন যাবত পর্যটনের রাজধানী কক্সবাজারে হোটেল মোটেল গুলোর অধিকাংশ রুম এখন টুইটুম্বর।
কলাতলির প্রত্যেকটি রাস্তাঘাট, দোকান আর রেস্তোঁরা লোকে লোকারণ্য। সবচেয়ে জমে উঠছে সুগন্ধা বীচের ভাজা মাছের দোকান গুলো।
চাহিদা মত সেবা দিতে পারছেনা বলে রেস্তোরা মালিকদের এখন পোয়াবারো।
আগত অতিথিবৃন্দ রাস্তায় দাড়িয়ে সাবাড় করছেন সব প্রকার সুস্বাদু মাছ।
বসার কোন জো নেই, বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই প্রিয় রেসিপির অর্ডার দিচ্ছেন।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসা রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রতি তাদের প্রচণ্ড ভালবাসা থেকে এই মাছ খাওয়া, তার প্রিয় টোনা,যদি ও মাছের দাম বেশী বলে তার কিছুটা আপত্তি।
ঢাকার রামপুরার আয়েশা বলেন, তার পছন্দ রুপচাদা,কারন এখানে ঢাকার তুলনায় কোয়ালিটি ভাল।
চাইনিজ ফুড রেস্তরার কর্ণধার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সরয়ার আলম বলেন, বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন তিনি প্রায় ৩০ হাজার টাকার মাছ বিক্রয় করছেন। যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টার মানের কিছু রেস্তরা গুলোতে পঞ্চাশ হাজার টাকার লেনদেন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে খড়ের ছাদ আর বেড়ার বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা এই রেস্তরা নিঃসন্দেহে প্রচুর মুনাফা করছে।
সিবিএন-এর প্রতিবেদককে তিনি তেল, রান্নাঘর ও মাছের গুনগত মান দেখান।
আরেক ব্যবসায়ী জে,আর চাইনিজ রেস্তরার হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, রকমারী মাছের একসমারোহ তার রেস্তঁরা।
এখানে চিংড়ী,টোনা, রুপচান্দা, সুরমা,কোরাল, স্যালমন থেকে শুরু করে কাকড়া পাওয়া যায়।
তিনি আশাবাদী আগামী রোববার পর্যন্ত এই ভীড় লেগে থাকবে।
প্রশাসন রাস্তার বিপরীত পাশে অবৈধ স্থাপনা তুলে ফেলায় এখন সহজেই চলাফেরা করা যাচ্ছে আর এতে লাভবান হচ্ছেন সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ী।