হাসিবুল ইসলাম সুজন:

টেকনাফ বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়ায় বন বিভাগের জমিতে দালান ঘর নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। খোদ স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে একের পর এক দালান ঘর নির্মাণ করে গেলেও খবর নেই কর্তৃপক্ষের। একই সাথে পাল্লা দিয়ে দখল হচ্ছে বন ভূমি। ওইসব জমিতে রাতের আধাঁরে নির্মাণ হচ্ছে নানা ধরণের স্থাপনা। স্থানীয় ইয়াবা কারবারী নব্য পয়সাওয়ালাদের অবৈধ টাকার গরমে অসম্ভবকে সম্ভব করে চলছে। সেখানকার বন বিভাগের জমি দখলে রোহিঙ্গারাও থেমে নেই। বন ভূমি দখল প্রতিরোধে জনস্বার্থে স্থানীয় সচেতন নাগরিক জাফর আলম প্রধান বন সংরক্ষণ আগর গাঁও ঢাকা ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ গরুত্বপূর্ণ আরো ৫টি অফিসে রেজিষ্টার ডাকে আবেদন করছেন বলে জানাগেছে।

জানা যায়, নোয়াখালী পাড়ায় বেশ কয়েক মাস থেকে আবারো বন ভুমি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওইসব জমি দখলে যারা রয়েছে স্থানীয় মোঃ আনোয়ার, আব্দু রহিম প্রকাশ বার্মাইয়া রহিম, মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ বার্মাইয়া রশিদ মোহাম্মদ হাসান, আলী হোসেন, মোহাম্মদ হাসান প্রকাশ ডাক্তার হাসান, আব্দু সুবুর, হাফেজ আহম্মদ হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, সহআরো বেশ কয়েকজন। এইসব বনের জমি এর আগে একবার দখল করে দালানসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছিল কিছু লোক। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ১৫ সালের দিকে এই স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করেছিল। এর পর বেশ কিছু দিন দখল না হয়ে থাকলেও আবারো এই বন ভূমি দিনের পর দিন দখল হচ্ছে বিশাল এলাকা। সেখানে নানা স্থাপনা গড়ে ওঠছে রাতের আধাঁরে ও প্রকাশ্যে। অতচ স্থানীয় বিট কর্মকর্তারা কেন দেখেও দেখছেনা এমন প্রশ্ন এলাকার সচেতন মহলের। বন ভূমি দখল বাজদের মধ্যে অনেকে আবার বড় ইয়াবা কারবারী। ইয়াবার টাকা দিয়ে দালাণ ঘর নির্মাণ ও জমি দখলেও কোন তোয়াক্কা করছে না তারা। এলাকার অনেক সচেতন নাগরিকের দাবী তাদের কালো টাকার কাছে হেরে গেছে স্থানীয় বন বিটের কর্মকর্তরা। তা না হলে তারা প্রকাশ্যে এইভাবে বন বিভাগের জমি দখল হলেও কোন প্রতিরোধ করছে না তারা।

কক্সবাজার জেলা বন সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু জানান, শুধু সেখানে নয় পুরো জেলা জুড়ে বন ভূমি দখলের হিড়িক পড়েছে। এখনই তাদের লাগাম টেনে না ধরলেও এক সময় তাদেরকে প্রতিরোধ করা অসম্ভব হয়ে ওঠবে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকার সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। তা না করলে আমাদের জন্য অনেক কঠিন আগামী অপেক্ষা করছে। সেই দিন হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

শীলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, হাসানকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এর পরেও কেউ বন বিভাগের জমিতে দালান ঘর বা জমি দখল করলেও তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।