বিশেষ প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনালস্থ পশ্চিম লারপাড়ার মোঃ জহিরের ছেলে সন্ত্রাসী কবির দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার রোষানল থেকে রেহায় পাচ্ছেনা ছাত্র, যুবক এমনকি বৃদ্ধারাও। এবার তার শিকার স্কুল ছাত্র রবিউল হোসেন (১৫) । আহত রবিউল হোসেন ঐ এলাকার মনছুর আলমের ছেলে এবং উত্তরণ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা যায়। গুরুতর আহত রবিউল বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই বিষয়ে রবিউলের মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে গতকাল শনিবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০২/৬৬৭। যা ৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৪ নং ধারা হিসেবে বিবেচিত। এতে আসামী করা হয় পশ্চিম লারপাড়ার মোঃ জহিরের ছেলে কবির আহমদ (২৭), কোরবান আলী (২২), মোঃ হাছান (৩০) ও একই এলাকার মোহাং হোছনের ছেলে হেলাল সহ অজ্ঞাত আরোও ২/৩ জনকে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীগণ একদলভূক্ত সন্ত্রাসী, বে-আইনী অস্ত্রধারী, দখলবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও খারাপ স্বভাবের লোক হয়। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ টু শব্দও করতে পারেনা। আসামীগণ আহত রবিউল আলমের মামা আব্দু ছবির বসতবাড়িতে আগুন দেওয়ার কারণে রবিউলের মামী আসামীদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। যার জি,আর মামলা নং ৩৩৫/১৬, ধারা- ৪৩৬/৩৪ দঃবিঃ। এই ঘটনার পর থেকে ১ নং আসামী শীর্ষ ইয়াবা ডন সন্ত্রাসী কবির আহমদ রবিউলের মামাসহ তাদের পরিবারের অপরাপর সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুন কোচিং থেকে ফেরার পথে রবিউলকে পথরোধ করে টেনে-হিছড়ে একটি বাড়ির বাউন্ডারির ভিতর নিয়ে গিয়ে ধারালো দা, হাতুড়ী, লোহার রড, ছুরি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা কবির, কোরবান আলী, হাছান, হেলাল সহ অজ্ঞাত আরোও কয়েকজন। এতে রবিউলের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ (হাটুর হাঁড়) সম্পূর্ণ দ্বি-খন্ডিত হয়ে যায়। এলোপাথাড়ি আঘাতে রবিউলের মাথা, মুখমণ্ডলসহ পুরা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এসময় মা এগিয়ে আসলে আসামীরা মাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। রবিউলের আত্মচিৎকারে রবিউলের মা ও অন্যান্য লোকজন এসে পড়লে আসামীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
রবিউলের মা আছিয়া খাতুন বলেন, আমার শিশু ছেলেটিকে সন্ত্রাসী কবির ও তার বাহিনী এভাবে আঘাত করেছে ডান পা হারিয়ে করুণ মৃত্যুশয্যা নিয়ে এখন সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। আমার নিরপরাধ শিশুর উপর যারা এভাবে বর্বরতা চালিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত কবির আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের জন্য এসআই আক্তারুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া।