মোহাম্মদ হোসেন,চট্টগ্রাম,
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলির রাস্তা ও বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে প্রধান প্রধান সড়ক গুলো ডুবে আছে। এতে নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঈদের পরদিন থেকে নগরীতে এ জলাবদ্ধতার কারনে নগরবাসীর আনন্দটা নেই বললে চলে। নগরীতে এখন দ্বিতল বহুতল ভবনে বসবাসকারীরা এখন নৌকা যোগে চলাচল করতে হচ্ছে। নদীর পানি বাড়ছে আরো জলাদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান নগরবাসী। জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে কোনো ভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না চট্টগ্রাম নগরবাসী। সোমবার অবিরাম বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। দোকান ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। যানবাহন সংকটে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষকেও পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ধসের সতর্কতা ছিল। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছি আমরা। তবে নগরীর উত্তরাংশে আরও বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার, বাদুরতলা, আরাকান হাউজিং, বাকলিয়া, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকসহ নিচু এলাকাগুলো হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়।
নগরীতে বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা মো. হাছান বলেন, জলাবদ্ধতা যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি পড়লেই এ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনকে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।###
টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।