ডেস্ক নিউজ:
যশোরের নওয়াপাড়া থেকে কবি, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর তাকে ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দু’টায় খুলনার ফুলতলা থানায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
খুলনায় র্যাব ও পুলিশের যৌথ সংবাদ সম্মেলনএসময় ফরহাদের মজহারের অপহরণের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত ভ্রমণ’ বলেই দাবি করছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি দিদার আহমেদ দাবি করে বলেন, ‘ফরহাদ মজহারের ঘটনাটি অপহরণ বলে মনে হয়নি। তার কাছে টাকা-পয়সা আছে, একটা মোবাইল আছে, এমনকি তার চার্জারও রয়েছে। অর্থাৎ মোবাইলের চার্জারও নিতে ওনি ভোলেন নাই। তাতে মনে হয়েছে, ওনি পরিকল্পিতভাবেই ভ্রমণ করতেছেন।’
খুলনার কোথায় তিনি অবস্থান করছিলেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘খুলনার কোথায় তিনি ছিলেন তা জানা যায়নি। তাকে অভয়নগর থানা থেকে আমরা পেয়েছি। পরে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তা জানা যাবে।’
আপনাদের কী মনে হয় ফরহাদ মজহার ইচ্ছাকৃতভাবেই সব করেছেন, উনি একটা নাটক উপস্থাপন করছেন, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একদম প্রাথমিকভাবে তাইই মনে হয়। তারপরও তদন্ত সাপেক্ষ আসল উত্তর দেওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে নাটকই মনে হয়।’
এদিকে খুলনার ফুলতলা থানায় সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ এর সিও খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, ফরহাদ মজহারকে ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএমপির প্রতিনিধিরা রাত পৌনে ২টার সময় তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৩ জুলাই সোমবার ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ‘ফরিদা, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।