শফিক আজাদ, উখিয়া:
কয়েকদিনের প্রবল বর্ষনে উখিয়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পুরো উপজেলার অধিকাংশ এলাকার নিন্মাচল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষ মানুষ। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যোগাযোগ সহ অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ঢুবে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এলাকার মৎস্য ঘের,পানের বরজ, ক্ষেতখামার সহ গবাদিপশুরর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন উখিয়ার বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা ভয়াবহ। প্রতিটি এলাকার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জানান,আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করে এলাকার জনগনকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সাইক্লোন সেন্টার ও স্কুল গুলোতে বন্যার আক্রান্ত জনগনকে সরিয়ে নেওয়াসহ প্রতিটি এলাকার ব্যাপারে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। এলাকার জানমান রক্ষার ব্যাপারে যা যা করনীয় সবকিছু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উখিয়ার বন্যার ব্যাপারে জেলা প্রসাশক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও বুধবার ভোররাত থেকে উখিয়ায় বিরামহীন একনাগাড়ে বৃষ্টি হতে থাকে। এতে পুরো উপজেলার নিম্নাঞ্চল ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয় ধ্বসে পড়ে এলাকার বেশকিছু মাটির ঘরবাড়ি।
পানিবন্দি হয়ে পড়ে রাজাপালং ইউনিয়নের হাজীর পাড়া,মৌলভীপাড়া,মালিভটা,ঘিলাতলী,ডিগিলিয়া,বড়ুয়া পাড়া,,পাতাবাড়ি, হিন্দুপাড়া,হরিনমারা,দুছড়ি,উত্তর পুকুরিয়া, সিকদারবিল,পালংখালী ইউনিয়েনের রহতের বিল, ধামনখালী, আঞুমান পাড়া, হলদিয়া পালং ইউনিয়েন চৌধুরী পাড়া,রুমখা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম,জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিম্ননাঞ্চল,রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া,হিমছড়ি, গয়ালমারা,চাকবৈটা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সহশ্রাধিক বাড়িঘর, স্কুল-মাদ্রাসা ও অফিস-আদালত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বষর্নের ফলে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্ককতাজারী করেছে উপজেলা প্রশাসন। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছ। এদিকে পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল জানান, ঘুমধুুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া ফকিরপাড়া এলাকায় পাহাড় ধ্বসে ছেমন খাতুন (৫৫) নামে বয়োবৃদ্ধ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার আব্দুল মাজেদের স্ত্রী। তিনি আরো বলেন এছাড়াও তুমব্রু, কোনারপাড়া, নতুনপাড়া,বেতবুনিয়া সহ বেশ এলাকায় বর্ষনের ফলে প্লাবিত হয়েছে। নিকটবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খোলা রাখা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।