শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) :
রামু উপজেলার ঈদগড়- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী সড়কে আবারো মাদ্রাসা ছাত্র সহ ২ ব্যক্তি অপহরনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সড়কের অলির ঝিরি নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দক্ষিন বাইশারী এলাকার বাসিন্দা ওসমান গনির পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র সাদ্দাম হোসেন (১৮) ও একই ইউনিয়নের পূর্ণবাসন পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল করিম মুন্সির পুত্র নুরুল আমিন (২৪)। অপহৃত নুরুল আমিন পেশায় ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক অপরদিকে সাদ্দাম হোসেন কক্সবাজারের ডুলাহাজরা দাখিল মাদ্রাসা থেকে সদ্য দাখিল পাশ করেছে।

অপহৃত সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই মোঃ ফোরকান জানায়, কক্সবাজার থেকে মায়ের ঔষধ ও চাচাত বোনের জন্য নোট বই নিয়ে আসার পথে রামু উপজেলার ঈদগড়ে গাড়ী না পাওয়ায় ভাড়ায় মোটর সাইকেলে করে বাইশারী যাওয়ার উদ্দেশ্যে অলিরঝিরি নামক স্থানে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেট দেয়। এতে মোটর সাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পূর্ব পার্শ্বে পড়ে যায়। পরে যাত্রী জসিম উদ্দিন পালিয়ে আসতে পারলেও চালক নুরুল আমিন ও মাদ্রাসা ছাত্র সাদ্দাম হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবু মুসার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এবং এলাকাবাসী মিলে অপহরণস্থলে ব্যাপক তল্লাশী চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত জুতা, ছাতা, চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ও ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আবু মুসা জানান- পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে ঘটনাস্থল প্রায় ৫ কি:মি পশ্চিমে রামুর ঈদগড় এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে তাদের অপহরণ করে গহীন অরণ্যে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর থেকে ঈদগড় পুলিশের সহায়তায় বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পাহাড়ী এলাকায় তল্লাশী অব্যাহত রেখেছে।
এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত অপহৃত ব্যক্তিদের খবর পাওয়া যায়নি এবং অপহরনকারীরা মুক্তিপনও দাবী করেনি অপহৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে।