ডেস্ক নিউজ:
প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পরও গোপনে মেয়ের বাল্যবিয়ে দেয়ায় মাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।শনিবার কনের মা শান্তা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আজগরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হাদিরা ইউনিয়নের আজগরা গ্রামে শুক্রবার রাতে ছিল বাল্যবিয়ের আয়োজন। আব্দুস ছালাম ও শান্তা বেগম দম্পতির নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সালমা খাতুনের বিয়ের সব প্রস্তুতি ছিল। পাত্র একই উপজেলার ছাতারকান্দি গ্রামের।
এদিকে বাল্যবিয়ের এ সংবাদ জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা শারমীন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন। এ অবস্থায় আব্দুস ছালাম বর-কনে নিয়ে পালিয়ে যান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরপক্ষের লোকজন ও মেয়ের মাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শান্তা বেগম জানিয়ে দেন ‘আমার মেয়ে আমি বিয়ে দেব।’ পরে তাকে আটক করে আইন প্রয়োগে বাধাদানের জন্য ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা শারমীন বলেন, আজগরা গ্রামটি উপজেলার শেষপ্রান্তে জামালপুরের কাছে। প্রত্যন্ত এ গ্রামের বাল্যবিয়েটি বন্ধে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিয়ে হয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।