চীফ রিপোর্টার, সিবিএন:
কক্সবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মমতাজ সওদার (৬০) নামে এক বৃদ্ধ। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার কুমিরাঘোনা বড়হাতিয়া এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র। আত্মীয়-স্বজনেরা এই দীর্ঘ সময়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। এই নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নিখোঁজ মমতাজ সওদাগরের পুত্র মো. শাহজাহান জানান, লোহাগাড়ার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তারা কক্সবাজার শহরের ব্যবসা করে আসছে। সে সুবাদে কক্সবাজারে অনেকটা স্থায়ীভাবে তারা বসবাস করছেন। পিতা মমতাজ সওদাগর লোহাগাড়া থাকলেও মাঝে-মধ্যে কক্সবাজারে যাওয়া-আসা করতেন। এর অংশ হিসেবে গত ১৮ জুলাই সকালে লোহাগাড়া গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের বাহারছড়া থেকে বের হন মমতাজ সওদাগর। কিন্তু এরপর নির্দিষ্ট সময়েও লোহাগাড়ায় পৌঁছেননি তিনি। এদিকে তার ব্যবহৃত ০১৭১৯-৬২২৮৩৫ নাম্বারের মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ওইদিন বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই থেকে অনুসন্ধান চালিয়েও আসলেও এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
পুত্র মো. শাহজাহান জানান, নিখোঁজ মমতাজ সওদাগরের সাথে কক্সবাজার বা লোহাগাড়ায় কারো সাথে তেমন সম্পর্ক খারাপ ছিলো না। তাই অপহরণের বিষয়টিকে এখন পর্যন্ত তারা আমলে নিচ্ছেন না। তবে পাচারের বিষয় নিয়ে যথেস্ট সন্দেহ পরিবারের। ধারণা করা হচ্ছে, পাচাকারীদের খপ্পরে পড়েছেন মমতাজ সওদাগর। এই বিষয়টি নিয়ে তারা সন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
৫ফুট ৫ ইঞ্চি গড়নের মমতাজ সওদাগরের নিখোঁজ হওয়ার সময় পরে একটি ব্লু ও সাদা রংয়ের লুঙ্গি পরনে ছিলো জানিয়ে তাঁকে কোথাও দেখা গেলেও ০১৮২৪৫৯৮৮৭৯ এই নাম্বারের যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন পুত্র শাহাজাহান। সন্ধানদাতাকে পুরস্কৃত করা হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়–য়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে নিখোঁজ বৃদ্ধ মমতাজ সওদাগরের সন্ধানে কাজ করবো।’
কক্সবাজারে ২৭ দিন ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।