মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
ভারতে বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা বিজিবির নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশে বলেছেন, পুরুষ সৈনিকদের থেকে আপনারা পিছিয়ে নেই। আমি মনে করি মহিলা সৈনিক বিজিবিতে যোগ দেওয়ায় এ বাহিনীর কার্যকারিত আরও বাড়বে। ১৬ জুলাই রোববার সকাল ৯টায় ৯০-তম ব্যাচ রিক্রুটদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি‘র একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ভারতে বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা আইপিএস। সঙ্গে অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এবার তৃতীয় দফায় বিজিবিতে ৯৭ জনসহ মোট ২৮৯ নারী সৈনিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
ভারতের বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহাপরিচালক বলেছেন, দু’দেশের সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বিজিবি ও বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করবে। একটি বলিষ্ঠ ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশী প্রযোজন কঠোর প্রশিক্ষন, সৎচরিত্র , মানসিক দৃঢতা, অধ্যাবসায়, শৃঙ্খলাবোধ এবং সঠিক নেতৃত্ব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আজ নারীরা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথাযত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। বিজিবিতে নবীণ নারী সৈনিকদের জীবন গড়ার দৃপ্ত শপথে বলীয়ান হয়ে কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য বিজিবি সদস্যে পরিণত হতে হবে। তিনি সকলকে সর্বদা উর্দ্বতন কর্মকর্তার আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আনুগত্যশীল থাকার এবং নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বসুলভ মনোভাব বজায় রাখার আহ্বান জানান।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মহসিন রেজা বলেন, ২০১৫ সালে বিজিবি মহাপরিচালক ভারতের বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফের) আমন্ত্রণে নবীন সৈনিক সদস্যদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএসএফের প্রধান এখানে এসেছেন।
সকাল ৮ঘটিকা হতে পর্যায়ক্রমে মার্কারদের প্যারেডে যোগদান, বাদক দলের মাঠে প্রবেশ, রিক্রুটদের প্যারেড মাঠে প্রবেশ, জাতীয় ও বিজিবি পতাকাবাহী দলের প্রবেশ, প্রধান অতিথির আগমন ও প্যারেড পরিদর্শন, রিক্রুটদের শপথ গ্রহণ, কোরআন তেলেওয়াত, পুরস্কার বিতরণ, প্রধান অতিথির ভাষণ, সংঘবদ্ধ কুচকাওয়াজ, বাদকদলের মার্চ প্রভৃতি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১১ টায় অনুষ্ঠানমালা সমাপ্ত হয়। প্রধান অতিথি ৯০তম রিক্রুট ব্যাচে মোট ৪৩৩ জন নবীন সৈনিকদের মধ্য হতে শ্রেষ্ঠ সিপাহী (জিডি) পাপিয়া আক্তারকে নারী সৈনিককে পুরস্কার প্রদান করেন।
ছবির ক্যাপশান: অনুষ্ঠানে নবীন সৈনিকদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করছেন প্রধান অতিথি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।