ডেস্ক নিউজ:
সারাদেশে আরও ১ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সালের মধ্যে যে ৫ হাজার ল্যাব তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, সে উদ্যোগে আরও একধাপ অগ্রযাত্রা হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, এরই মধ্যে ২ হাজার ৯৭১টি ল্যাবের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ আগস্ট গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ২ হাজার ১টি ‘শেখ রাসেল কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ল্যাবের সংখ্যা ছিল দুই হাজার। বরাদ্দ ছিল ২৯৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে ২ হাজার ১টি ল্যাব তৈরির পরও ৯৬ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। পরবর্তী সময়ে উদ্বৃত্ত টাকা দিয়ে ৯৭০টি ল্যাব তৈরি করা হয়। নতুনভাবে ১ হাজার ল্যাব তৈরির জন্য ১১২ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই ল্যাব নির্মাণ করা হবে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীন ‘সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের’ সহকারী প্রকল্প পরিচালক এএসএম শফিউল আলম তালুকদার জানান, ‘নতুন করে যে ১হাজার ল্যাব তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, তা পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই তা একনেকে উঠবে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।’ নতুন এই ল্যাবগুলোতে ১০টি পিসি, একটি ল্যাপটপ, রাউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গগুলো থাকবে বলেও তিনি জানান।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, সারাদেশে ৩০ হাজার স্কুল-কলেজ রয়েছে। যে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে, তা মোট স্কুল কলেজের ১০ শতাংশেরও কম। ফলে আরও ল্যাব তৈরি করতে হবে। আইসিটি বিভাগের পরিকল্পনা ২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার ল্যাব তৈরি করা।
উল্লেখ্য, ‘শেখ রাসেল কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব’ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৬৪টি জেলায় ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবসহ সারাদেশে দুই হাজার ৯৭১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের মাদ্রাসা) কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব তৈরি করা হয়। প্রতিটি ল্যাবে ১৭টি ল্যাপটপ, একটি ইন্টারনেট মডেম, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাঙ্গুয়েজ কনটেন্ট রয়েছে।
এরমধ্যে প্রত্যেক জেলায় একটি করে মোট ৬৪টি এবং ‘মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড’-এ একটি ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। এসব ল্যাবে কোরিয়ান, চাইনিজ, জাপানিজ, রাশিয়ান, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, ইংরেজি, আরবিসহ ৯টি ভাষা শেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে একটি সফওয়্যার তৈরির কাজও শেষ হয়েছে।
আইসিটি সূত্র জানায়, আরও এক হাজার ল্যাব তৈরি করা হলে তা মোট স্কুল-কলেজের ১৬-১৭ শতাংশ হবে। এর পরিমাণ অন্তত ৫০ ভাগে উন্নীত করতে চায় সরকার। ডিজিটাল ল্যাবের উদ্দেশ্য হলো তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়া, প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও ল্যাবগুলোকে আইটি হাব হিসেবে গড়ে তোলা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।